ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আকিবুল ইসলাম নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। আকিবুল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ধর্ষণের শিকার দুই সন্তানের জননীর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আকিবুল আনোয়ারার হাইলধর ইউনিয়নের নুরুল আবছারের ছেলে।আকিবুল নিজেকে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছাড়াও সম্পদশালী পরিচয় দিয়ে বাদিনীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। পরবর্তীতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তুলেন সে। পরে বাদিনী বিয়ের জন্য আতিকুলকে চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়াও নিজেকে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা পরিচয় দিয়ে নানা সময় বাদিনীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দেননি আকিবুল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী দুই কন্যা সন্তানের জননী। তার স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই তাদের মধ্যে তালাক হয়ে যায়। তারপর ফেসবুকে আকিবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আকিব পরিচয় গোপন রেখে ‘তাহসান খান প্রিজন’ নামে পুলিশের এএসপি পরিচয় দিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শহরের আল ফয়সাল হোটেল ও হোটেল প্যাভিলিয়নে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ আনেন। তিনি প্রকৃত নাম গোপন করে তাহসান খান আকিব নামে নগরীর চান্দগাও বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিয়েও রেজিস্ট্রি করেন। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ওই নারীকে বিয়েও করেন আকিব। পরে তার কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা নানা ছুতায় হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেন। বাকলিয়ার রাহাত্তরপুলে বাসা ভাড়া নিয়ে দুজনে কিছুদিন একসঙ্গেও থাকেন। কাবিননামায় ১০ লাখ টাকা কাবিনও উল্লেখ করা হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন সিএনএন ক্রাইম নিউজকে বলেন, ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে আকিব ওই মহিলার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক তৈরি করেন। আসল পরিচয় গোপন করে সে ওই মহিলাকে নিয়ে বিভিন্ন হোটেল ও বাসায় গিয়ে গত ৪ থেকে ৫ মাস ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করে আসছিল। পরে ওই মহিলা ধর্ষণের মামলা করলে আসামি আকিবুলকে আমরা গ্রেপ্তার করি।
CNNcrimenews.