অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল অবস্থার অবনতি হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া রাজ্যে মাইলের পর মাইল বন ও অসংখ্য বাড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুটি রাজ্যে মঙ্গলবার দুই জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। দুই রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বিবিসি’র
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষণা দিয়েছেন, দাবানল পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে তিন হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। এছাড়া, চারটি পানি-ছিটানো প্লেনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এসময় মরিসন বলেন, আমরা দেখছি, দুর্যোগ বেড়ে ভয়াবহ এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডস বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনা মোতায়েনের ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এ প্রথম ঘটেছে।
এদিকে, তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির সব স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সেই সঙ্গে বইছে প্রবল ঝড়ো হাওয়া। শনিবার দেশটির জন্য ‘বিপজ্জনক দিন’ হতে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সেপ্টেম্বর থেকে দাবানলে এ পর্যন্ত অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। এছাড়া, পুড়ে গেছে ১৫শ’ বসতবাড়ি।ভিক্টোরিয়া রাজ্যে রাতারাতি তিন স্থানে আগুন লেগে গেছে, যা ছয় হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে জ্বলছে। এ রাজ্যের বেশকিছু অঞ্চলে বসবাসরত এক লাখ মানুষকে দাবানল এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে; জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। ২১ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে এ রাজ্যে।
দক্ষিণ উপকূলসহ বেশকিছু এলাকার মানুষকে ওই জায়গায়ই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। কারণ দাবানল ঘিরে ফেলেছে চারদিক, ইতোমধ্যে অন্য স্থানে যাওয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে।এদিকে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ বিমান সহায়তা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
CNN।crimenews