নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ‘পদ্মকুঞ্জ’ নামে একটি আস্তানা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউছারকে গ্রেপ্তারের পর ওই আস্তানাটি নিয়ে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, সন্ধ্যা হলেই মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ওই আস্তানায় সংঘটিত হয়।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ কাউছার (৩৯) চান্দগাঁও থানাধীন বাদশা চেয়ারম্যানঘাটার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি ৬ নং ওয়ার্ড পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।গত বুধবার রাতে (১ জানুয়ারি) নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের একটি টিম চান্দগাঁও এলাকায় ‘পদ্মকুঞ্জ’ নামে একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে কাউছারকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে। ডিবির হাতে গ্রেপ্তার বাকি দুই সহযোগী হলেন আরিফুল ইসলাম প্রকাশ নয়ন (২৬) ও শাহাদাত হোসেন (৩৩)। নয়ন ওই এলাকার ওমর আলী মাতব্বর রোডের হারুনুর রশিদের ছেলে। অন্যদিকে শাহাদাত হযরত হাছি শাহ মাজার পাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এ সময় আস্তানাটি থেকে দুইটি চাপাতি, ১টি ছুরি ও দুইটি কিরিচ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, চান্দগাঁও থানাধীন ওমর আলী মাতব্বর রোড সংলগ্ন একতলা বিশিষ্ট ‘পদ্মকুঞ্জ’ আস্তানাটি মূলত চারকক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর। সেখানে সব সময় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা থাকে।
কাউছারের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও ও চকবাজার থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। সবই চাঁদাবাজির মামলা। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউছার ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলমের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
CNN।crimenews