চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বাসা থেকে মেজবান শেষে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন রিপন। রিপন স্থানীয় রাজনীতিতে কাউন্সিলর বাবুর অনুসারী ছিল বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে শের শাহ বাজার সংলগ্ন ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার।সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে এই হামলা সংঘটিত হয়। হামলায় এমদাদ, দিদার, মিল্টন বড়ুয়া, জসিমসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল রিপনের। এই দ্বন্দ্বে আগেও হামলার শিকার হয়েছিলেন রিপন। সেই হামলার ঘটনায় ১৩ নভেম্বর দিদার, মিল্টন, জসিম, লিটনের নাম উল্লেখ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে এই বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন রিপন।
মঙ্গলবার রাতে কাউন্সিলর বাবুর বাসা থেকে মেজবান শেষে ফেরার পথে ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে এলে সেখানে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন রিপন। এসময় আতংক ছড়াতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও করে হামলাকারীরা।
নিহত মোহাম্মদ রিপন (২৮) ওই এলাকার বাসিন্দা। ছুরিকাঘাতে তার সঙ্গী আল আমিন (৩২) নামে আরেকজন আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিপনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিএনএন ক্রাইম