প্রেমে পড়ার কোনও বয়স নেই, ষাটোর্ধ্ব এই যুবক-যুবতী যেন ফের একবার সেটাই দেখিয়ে দিলেন। প্রেম ভালোবাসার সঙ্গে বয়সটা আমরা খুব মিলিয়ে ফেলি। আমাদের ধারণা সুইট সিক্সটিনে শুধু প্রেমে পড়ার বয়স, কিন্তু প্রেমে পড়ায় বয়স কোনো বাধা নয়, তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন কেরেলার সুইট সিক্সটির কোচানিয়ান মেনন ও লক্ষী অমল।
এক জনের বয়স ৬৭, অন্য জনের ৬৬, মাস দুয়েক আগে সিদ্ধান্ত নেন বাকি জীবনটা পরস্পরের হাত ধরে কাটিয়ে দেবেন। সেই মতো শনিবার ধুমধাম করে বিয়েও করে নিলেন তাঁরা।জীবনের ষাট বছর পেরিয়ে দু’জনে ভালোবেসেছেন একে অপরকে। তাও আবার সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে! সহায়-সম্বল-আত্মীয়হীন হয়ে সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে কোনোভাবে কেটে যাচ্ছিল দুঃখের দিনগুলো। এরই মাঝে ভালোবাসার র্বাতা নিয়ে লক্ষীর জীবনে আসেন কোচানিয়ান। আর এই ভালোবাসার পূর্ণ-রূপ দিয়েছেন বিয়ে করে সংসার বেঁধে।
পরিচয়টা তাঁদের ৩০ বছরের পুরনো। তবে বিয়ের সিদ্ধান্ত মাস দুয়েক আগেই নিয়েছিলেন। তাঁদের চার হাত এক করতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এক মন্ত্রীও। কেরালার ত্রিশূরে রামবর্মপুরমের সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে এই ইতিহাস তৈরি হয়েছে। রাজ্যের সরকারি কোনো বৃদ্ধাশ্রমে বিয়ের ঘটনা এই প্রথম।
বিয়ের সাজে লাল সিল্ক শাড়িতে কনে লক্ষ্মী। তার মাথায় জুঁইয়ের মালা। কোচানিয়ান সেজেছিলেন সাদা ধুতিতে, সঙ্গে ছিল সাদা শার্ট। শেষবেলায় এসে নতুন করে প্রিয় মানুষকে নিজের করে পেয়ে দু’জনকেই খুব খুশি দেখাচ্ছিলো বিয়ের স্টেজে।
বছরশেষের এই ঘটনায় দারুণ খুশি সবাই। নতুন বছর কোচানিয়ান দম্পতির সুখের জীবন কামনা করে অনেকেই শুভকামনা জানিয়েছেন। তাদের বিয়ের ছবি দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন প্রেম বয়স মানেনা।
সিএনএন ক্রাইম