ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গ্রন্থাগার এবং জনশিক্ষা প্রসারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে বাংলাদেশ ভ্রমণের ভিসা দেওয়া হয়নি। একাধিক গণমাধ্যমে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে এমন খবর ছাপা হয়েছে। খবর দি ইন্ডিয়া টু ডে, এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা।
এদিকে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের একটি সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভিসা সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে বিষয়টিতে কারিগরি কিছু সমস্যা হচ্ছে।ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, বাংলাদেশে যাওয়ার ভিসা পেলেন না রাজ্যের গ্রন্থাগার এবং জনশিক্ষা প্রসারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ইসলামিক সংগঠন জমিয়তে উলেমার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সস্ত্রীক বাংলাদেশ যাওয়ার কথা বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর)। ২৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিগত কাজে স্ত্রী রাজিয়া এবং দেড় বছরের নাতনিকে নিয়ে বাংলাদেশে কাটানোর কথা ছিল তার। কিন্তু তাকে বাংলাদেশে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়নি বলেই বুধবার দাবি করেছেন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিন দিন আমার অফিসের এক কর্মীকে দু’ঘণ্টা করে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বসিয়ে রাখার পরও বুধবার পর্যন্ত ভিসা দেওয়া হয়নি। কেন ভিসা দেওয়া হলো না তা নিয়েও কিছু জানায়নি উপ-দূতাবাস।আনন্দবাজার আরও লিখেছে, বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস কোনো কারণ না দেখালেও, ভিসা না পাওয়ার পেছনে রাজনীতি দেখছেন জমিয়তের এই নেতা।
তিনি বলেন, সম্ভবত বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে ভুল বোঝানো হয়েছে, না হলে তারা বেশি বুঝছে। কোন প্রসঙ্গে তিনি এই অভিযোগ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সিদ্দিকুল্লা বলেন, বাংলাদেশে আমার কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এটি ছিল একেবারেই ব্যক্তিগত সফর। আমি বাংলাদেশের কোনো সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত নই। তার পরেও আমার ভিসা আবেদন বাতিল করা হলো। এর পেছনে অবশ্যই রাজনীতি রয়েছে।সিদ্দিকুল্লা এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য না করলেও জমিয়তে উলেমা সংগঠনের তার ঘনিষ্ঠদের দাবি, বর্তমানে দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যেভাবে তোলপাড় হচ্ছে তার মধ্যে সিদ্দিকুল্লা বাংলাদেশে গেলে ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে- এ আশঙ্কা থেকেই হয়তো তাকে ভিসা দেওয়া হয়নি।
তার অন্য এক ঘনিষ্ঠ অনুগামী দাবি করেন, গোটা রাজ্যে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম প্রধান মুখ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। গত ২২ ডিসেম্বরের জনসমাবেশ থেকে তা আরও স্পষ্ট। তাকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যেতে দিলে কূটনৈতিক স্তরে সমস্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দেখিয়েই ভিসা দেয়নি।অন্য একটি পক্ষ অবশ্য দাবি করছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের চাপেই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে ভিসা দেয়নি বাংলাদেশ।
সিএনএন ক্রাইম