ভারতে নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ থেকে একাধিক প্রতিক্রিয়া এসেছে। অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকাও চেয়েছেন বাংলাদেশের মন্ত্রী। তবে এবার আরও বিস্ফোরক দাবি করলেন সে দেশের সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ভারতের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নীপিড়নের শিকার হয়ে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই আইন নিয়ে দেশের একাধিক মহলে তৈরি হয়েছে বিক্ষোভ। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মন্ত্রী অমিত শাহকেই সমর্থন করেছেন। তাঁর কথায়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন বাংলাদেশের বাস্তবে সেটাই সত্যি।ঢাকায় সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে যে মাইনরিটি পারসিউকিউশন এদেশে হয়েছে, এটা কেবলমাত্র ৭১-এর বর্বরতার সঙ্গেই তুলনীয়। কাজেই এখানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কোনো উপায় নেই।
খালেদা জিয়ার দল অর্থাৎ বিরোধী বিএনপি-কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বিএনপি যতই সত্যকে চাপা দিতে চাক, আপনারা জানেন, সাংবাদিকরাও জানেন, তখন কিভাবে মাইনরিটির ওপর অত্যাচার হয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর। তাঁর মতে, ওই অবস্থায় সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে পালানোটাই স্বাভাবিক ছিল। অনেকেই জীবনের নিরাপত্তার জন্য সেদিন পালিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল যতই সাফাই গান না কেন, যে সত্য দিবালোকের মতো সত্য, তা চাপা দিয়ে কারও কোনো লাভ নেই। সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য। এটা প্রকাশ হবেই।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা গওহর রিজভী সম্প্রতি ভারতে এসে বলেছেন যে সংখ্যালঘু কেউ বাংলাদেশ থেকে এসেছে প্রমাণ হলে তাদের ফেরত আনা হবে। এই প্রসঙ্গে কাদেরকে প্রশ্ন করা হলে, জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মাইনরিটি পারসিউকিশনের মতো ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্নভাবে, বিক্ষিপ্তভাবে অঞ্চলভিত্তিক দু’চার জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেটা সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে পালানোর মত, কোনও কারণ তৈরি হয়নি। এ ধরণের ঘটনাও হয়নি।
তিনি বলেন, রংপুর, গোবিন্দগঞ্জ, রামু, নাসিরবাদের — এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এগুলো তাদের দেশ থেকে চলে যাওয়ার কোনও কারণ সৃষ্টি করেনি বলে আমরা মনে করি। বিএনপি আমলের কথায় তিনি বলেন, সেই সময় দেশ ছেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া মোটামুটি সেফ জোন, আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে লঙ্গরখানা খুলেছি। ঢাকায়ও আশ্রয় দিয়েছি। তখন ভয়ভীতির কারণে অনেকে চলে যেতে পারেন।
এরপর ওবায়দুল কাদেরকে কাদেরকে প্রশ্ন করা হয়, তখন ভয়ভীতির কারণে যারা গেছেন তাদের কি ফিরিয়ে নেওয়া হবে? জবাবে তিনি বলেন, তারা আসতে চাইলে ফিরিয়ে নেব। সূত্রঃ কলকাতা২৪ডটকম।
সিএনএন ক্রাইম