গৃহকর্তা হাটহাজারির মোরশেদ আলম বিশ্বাস করে বিল্ডিংয়ের দেখাশুনা থেকে পুরো দায়িত্ব দেন আনোয়ারার মো. এমদাদকে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা মো. এমদাদ গৃহকর্তার বিশ্বাসের মর্যাদা দিলেন সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করেই।
মোরশেদ আলমের মালিকানাধীন একটি ভবনের ভাড়া সংগ্রহ করে কিছু অংশ প্রতি মাসেই আত্মসাৎ করতেন কর্মচারী মো. এমদাদ। গৃহকর্তা তাকে বিশ্বাস করতেন বলেই কখনো হিসাব নিতেন না। এভাবে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে অগ্রিম ভাড়াসহ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে সস্ত্রীক পলাতক হয়েছেন। বিষয়টি আর গোপন থাকেনি, গৃহকর্তার কানে আসার পর খোঁজ খবর নিয়ে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন মালিক পক্ষ।
গত বুধবার (১৭ মে) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
পলাতক মুহাম্মদ এমদাদ আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপের ওয়ার্ড-০৯ এর আবদুল কাদের মুন্সীর বাড়ীর মৃত আজমল হক ও মকিমা বেগমের ছেলে।
গৃহকর্তা মোরশেদ আলম জানান, আমার ভাড়া ঘর চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ ৭নং শুলকবহর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আল-মাদানি রোডস্থ মাসুদ ভবন’র কেয়ারটেকার পদে কর্মরত ছিলেন মো. এমদাদ। গত ১৭ মে ২০২৩, বুধবার সকালবেলা ভাড়াটিয়াদের অগ্রিম ভাড়াসহ নগদ তিন (৩) লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। কোন সচেতন ব্যক্তি তাদের সন্ধান/ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এতবেশি বিশ্বাস করেছিলাম এমদাদকে সে এমনভাবে তার প্রতিদান দেবে কল্পনাও করিনি। সে আমার বিল্ডিংয়ে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতো।