আরো বেশী জনমুখী ও জনকল্যাণকর হবে আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি বিবিসি বাংলার সাথে কথোপকথনে এই কথা বলেন।
সিএনএন ক্রাইম নিউজ পাঠকদের জন্য বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।
বিবিসিঃ এ মাসের ২০ ও ২১ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে আসার নেতাকর্মীরা কি বলেছেন?
বিপ্লব বড়ুয়াঃ আমাদের এই সম্মেলনের দেশের মাঠ পর্যায় থেকে অত্যন্ত প্রবীণ নেতারা এসেছেন। তাঁরা বলতে ছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন দলের ভিতরে এবং বাহিরে এসব নেতকর্মীরা পরিপূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি পরাজিত হয় বাংলাদেশের ভবিষ্যত বিপন্ন হতে পারে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কে ধরে রাখা এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, সে সমস্যা নিয়ে আমাদের তৃণমূলের নেতারা খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এই সভায় প্রায় ২৫ জনের অধিক তৃণমূল নেতারা বক্তব্য রেখেছেন। সেখানে কিছু প্রশ্ন ছিল প্রশ্ন উত্তর পর্ব ছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই কিন্তু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
বিবিসিঃ এই যে কথাগুলো তাঁরা বলেছেন এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন?
বিপ্লব বড়ুয়াঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় যে জনগণের কল্যাণে জন্য কাজ করে সেটাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। রাষ্ট্রের সম্পত্তি সকল সুযোগ-সুবিধা, একটি রাষ্ট্র যেভাবে জনগণকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সেবা দিতে পারে। কিভাবে রাষ্ট্রকে তিনি প্রস্তুত করছেন। তার মানে রাষ্ট্রের মধ্যে যে সমস্ত রিসোর্স রয়েছে তার যেন সুষম ভাবে বন্টন হয়, এবং রাষ্ট্রীয় সকল মানুষ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই যেন রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা এবং সম্পদ জানিয়ে কিভাবে ভোগ করতে পারে। সেই ব্যবস্থা তিনি করছেন বলেও বলেছেন।
একইভাবে দলের মধ্যে তিনি সৎ এবং দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে চান এবং নেতৃত্বে দিতেও চান।
বিবিসিঃ একটা কথা তো সত্য আওয়ামীলীগ আজকে প্রায় ১১ বছর ধরে ক্ষমতায়, এর ফলে দলের সঙ্গে সাধারণ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা কিন্তু বলছেন? সেই দূরত্ব কিভাবে কমাবেন? এ বিষয়ে নিয়ে কোন কথা হয়েছে?
বিপ্লব বড়ুয়াঃ হ্যাঁ অবশ্যই কথা হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, একটি দল যখন একাধিকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকে সাধারণ মানুষের সাথে, এমনকি দলের সাথে ও একটি গ্যাপ হতে পারে, সে কারণে দলকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করা এবং জনগণের সাথে দলকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায়। তা নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।
আমরা মনে করি জবাবদিহিতার মাধ্যমে আরও বেশি প্র্যাণবন্ত করা হচ্ছে। এ ধরনের উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমাদের ভুল ত্রুটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দলকে আরো বেশি জনপ্রিয় করা যায় সে ব্যাপারে নেত্রী আজকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও জেলা-উপজেলার নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের কিন্তু ওই ভাবে রাখা হচ্ছে না, যারা শুধু নতুনদের দলে আনা হচ্ছে, নেত্রী চান যারা নেতৃত্বে আছেন এমপি মন্ত্রী বাইরে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে যে লোক গুলো আছে তারাও যাতে সমান ভাবে যাতে গুরুত্ব পায়।
আমি মনে করি যে সাধারণ মানুষের সাথে আওয়ামী লীগের, সাধারণ জনগণের মধ্যে কোন গ্যাপ হওয়ার সুযোগ থাকছে না।
বিবিসিঃ এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ এতোদিন যেভাবে দল পরিচালনা করেছে বা রাজনীতি করেছে এই কাউন্সিলের পরে সেখানে আমরা কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখব? ডিরেকশন এর দিক থেকে কর্মসূচির দিক থেকে?
বিপ্লব বড়ুয়াঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭০ বছরের একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি প্রণয়নে এবং নেতৃত্ব নির্বাচনে বরাবরই আধুনিক। কাউন্সিল বা সম্মেলন মানেই হচ্ছে নেতৃত্বে পরিবর্তন কিংবা নেতৃত্বে নবায়ন। অবশ্যই ২১ তম আওয়ামী লীগ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামি লীগে নেতৃত্বে পরিবর্তন কিংবা নেতৃত্বে নবায়ন একই সাথে নীতি-আদর্শ এবং কর্মসূচিরও নবায়ন হবে। এটি আওয়ামী লীগ অতীতেও করেছে আগামীতেও করবে। সূত্রঃ বিবিসি বাংলা।
সিএনএন ক্রইম