চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন শেখ মুজিব রোড এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৮ জনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাদের আটকের বিষয়টি জানানো হয়।
আটককৃরা হলেন- তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু (৩৬), তুষার হোসেন (২৫), মো. তপু (২২), হায়াত মাহমুদ জীবন (২৩), আনোয়ার হোসেন বাবু (২১), নাজমুল ইসলাম (২৮), আব্দুর রহমান রানা (২০) ও জনি শাহ (৩২)। তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, একটি এলজি ও তিনটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন ভয়েস অফ এশিয়াকে বলেন, আটক যুবকরা একসঙ্গে চলাফেরা করে। তাদের টার্গেট করা লোককে সুবিধামত স্থানে ধরে মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।দীর্ঘদিন ধরে তারা এ কাজে জড়িত এবং নগরীর বিভিন্ন থানায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে।
ওসি মহসিন বলেন, এ গ্রুপের সদস্যরা কয়েকটি ভাগে কাজ করে। যেগুলো তাদের ভাষায় মিস্ত্রি, ঠ্যাকবাজ, পাসম্যান, জমাদার ও মহাজন নামে পরিচিতি।
তাদের ভাষায় যারা টার্গেট করা লোককে আটকায় তারা ঠ্যাকবাজ, যারা মালামাল ছিনিয়ে নেয় তারা মিস্ত্রি, যারা ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল সরিয়ে ফেলে তারা পাসম্যান ও যারা মালামাল জমা রাখে তারা ‘জমাদার’।এছাড়া ছিনতাই করা মালামাল যিনি কিনে নেন কিংবা তাদের টাকা দেন তাকে তারা মহাজন নামে ডাকে।
ওসি মহসিন আরও বলেন, এ দলের দলনেতা তুষার। সে তাদের মহাজন, বিভিন্ন জনকে ছিনতাইয়ের পরে বেতন পরিশোধ করে। আটকের পর মোবাইল ফোনগুলোও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তুষার জানিয়েছে, সে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন রেয়াজউদ্দিন বাজোরে আব্বাস উদ্দিন জুয়েল নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে।
চোরাই মোবাইল কেনাবেচার অভিযোগে আব্বাসকেও একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসিন।