মেজর (অব.) রাশেদ হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপের আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়াইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্তের সংপৃক্ততা অবৈধ দাবি করে এক শ্রেনীর স্বার্থান্বেষী মহলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে সিএনএন ক্রাইম নিউজের সাথে মুঠোফোনে যুক্ত হন আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত।
অভিযোগে বলা হয়, লিগ্যাল রিমেম্বার অ্যাক্ট অনুযায়ী রানা দাশগুপ্ত রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা। যা প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদার সমান। তিনি এ পদে থেকে কোনও ধরনের আইনি সহায়তা দিতে পারেন না। যদি তিনি আইনি সহায়তা দিতে চান, তবে স্বেচ্ছায় সাংবিধানিক পদ থেকে পদত্যাগ করে অভিযুক্ত আসামিকে আইনি সহায়তা দিতে পারেন।
সিএনএন ক্রাইম নিউজকে আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, আইসিটির প্রসিকিউটর পদ কোনও সাংবিধানিক পদ নয় এবং আমি বেতনভুক্তও নই। সম্মানী পেয়ে থাকি। আমি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কিংবা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলও নই। এগুলো সাংবিধানিক পদ। তবে, প্রসিকিউটর পদটি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রানা দাশগুপ্ত একজন প্রখ্যাত আইনজীবী এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। তিনি একজন খুনির পক্ষে লড়াইয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছেন। তার এ আচরণের জন্য তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এমন অভিযোগের উত্তরে সিএনএন ক্রাইম নিউজকে আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রথমে আমি একজন আইনজীবী। আমার কাছে সবাই মক্কেল। আইসিটির প্রসিকিউটর পদটিও সেইরকম। রাষ্ঠ্র আমাকে সম্মানী দেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নের উত্তরে শুধু এটুকু বলবো, যারা বলছেন উনারা জানেন; কেন কার স্বার্থে এসব করছেন!
হ্যাঁ, এটা সত্য যে সরকার আমাকে পুলিশ প্রোটোকল দিয়েছে। কিন্তু, এটা আমার পদের জন্য দেওয়া হয় না, আমার নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হয়। কারণ, আইসিটি একটি স্পর্শকাতর ট্রাইব্যুনাল, বলেন আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত।
রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, আমি মনে করি এই নেত্রীকে (সংবাদ সম্মেলন করা নেত্রী) সামনে রেখে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। আমি আইনগতভাবে সঠিক পথে আছি। কোনও ষড়যন্ত্র বা ভিত্তিহীন বক্তব্যে কিছু আসে যায় না।
এখানে মজার বিষয় হলো ওসি প্রদীপের হয়ে ওকালতনামাই দাখিল করিনি আমি, বলেন আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত।