চাকরির আশ্বাস দিয়ে এক নারীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিরা হলেন মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান আলী খান ও সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ মুরাদ।
বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার ৯নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির আবেদন জমা দেন ভিকটিম। এ সময় আদালত ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করে ভাটারা থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এজাহারে বলা হয় আসামি শামীম আহমেদ মুরাদের সঙ্গে বাদীর পূর্ব পরিচয় ছিল। সে কারণে গত ২৭ অক্টোবরে চাকরির আশায় মুরাদের সঙ্গে বাদী যোগাযোগ করেন। এরপর ভিকটিমকে রেজওয়ান আলী খানের বসুন্ধরা অফিসে দেখা করতে বলা হয়।
কাজ পাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পৌঁছানোর পর সেখানে শামিম আহমেদ মুরাদকে দেখতে পান কিন্তু তার দেওয়া ঠিকানায় বাদী কোনও অফিস দেখতে পাননি। অফিস না পেয়ে ভিকটিম সেখান থেকে চলে আসতে চান। এ সময় শামীম তাকে বলে স্যার (রেজওয়ান আলী খান) ভেতরের রুমে আছেন। ভিকটিম ওই রুমে প্রবেশ করামাত্রই দুই আসামি তাদের ওপর যৌন নির্যাতনসহ ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।