অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে নেওয়া হয়েছে প্রধান আসামি টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্ত হওয়া ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে।
রবিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে র্যাবের গাড়িতে করে লিয়াকতকে কক্সবাজার আদালতে নেওয়া হয়।
১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য দুপুর ১২টার দিকে লিয়াকতকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, তামান্না ফারাহর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন লিয়াকত।
জবানবন্দি গ্রহণের আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লিয়াকতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যা মামলায় লিয়াকত আলী আজ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন।
সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। তাঁদের মধ্যে লিয়াকত আজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।
একই মামলায় ইতিমধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য। তাঁরা হলেন এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই পরে জামিনে মুক্ত হন।