একজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে পাসপোর্ট তুলে দেয়ার মাধ্যমে সর্বাধুনিক ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে চট্টগ্রাম। ঢাকার পর প্রথম বন্দর নগরীর মানুষ পেতে যাচ্ছে সর্বাধুনিক ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)।
রবিবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টার আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ অফিস থেকে আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্টগুলো বিতরণ করা শুরু হয়। এতে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদ চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আবু সাঈদসহ দায়িত্বশীল উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। এ পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ বাংলাদেশ।
ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া চোখের মণির ছবি ও দশ আঙ্গুলের ছাপ থাকবে।
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদ চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা মোতাবেক উদ্বোধন শেষে করোনার কারণে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। সেই উদ্বোধনের সময় যারা ই-পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন, তারাই ই-পাসপোর্ট পাবেন। তবে করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন চলমান পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা বেশী প্রয়োজন। ঘরোয়া পরিবেশে মুনছুরাবাদে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। নতুন এই ই-পাসপোর্ট সিস্টেমে সাধারণের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।
ই-পাসপোর্ট কারা পাবে এমন প্রশ্নে আবু সাঈদ জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা নতুন করে আবেদনকারীদের দেওয়া হবে ই-পাসপোর্ট। তবে বর্তমানে ৬ মাসের বেশি মেয়াদ থাকা এমআরপি পাসপোর্ট যাদের আছে তাদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবেনা।
পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় উদ্বোধন করেছিলেন। এরপর এখন ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগেও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজেদের পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি কমে আসবে।
পাসপোর্টের ফি-ও নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। অপরদিকে ১০ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা। এই ফি’র সাথে বাড়তি ফি যোগ করে জরুরি এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট নেয়ার সুযোগ থাকবে। তবে করোনাকালে এসব সুবিধা কার্যকর হবে না।