করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিবেচনায় নিয়ে দেশের ১০টি জেলার বিভিন্ন এলাকা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। আর সেসব এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রবিবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে এই ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ঘোষিত এসব এলাকায় বসবাসরত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, লাল অঞ্চল ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় কর্মরত ও অত্র এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।
রেড জোনে আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড নম্বর ১০ উত্তর কাট্টালি (বিসিক শিল্প নগরী ব্যতীত এলাকা)। এই সীমানা পর্যন্ত ১৭ জুন লাল অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী ২১ দিন লাল জোনের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই এলাকায় ২১ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে।
বগুড়া জেলার পৌরসভা চেলোপাড়া, নাটাই পাড়া, নারুলী, জলেশ্বরী তলা, সুত্রাপুর, মালতিনগর, ঠনঠনিয়া, হাড়িপাড়ি ও কলোনি এলাকা ১৪ জুন রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী ২১ দিন রেড জোনের মেয়াদ নির্ধারণ করে ২১ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপুর গ্রামের রিফিউজি কলোনি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকা গত ১৭ জুন রেড জোন এলাকা ঘোষণা করা হয়। এই তারিখ থেকে পরবর্তী ২১ দিন এ ঘোষণা বহাল থাকবে। এ এলাকায় ২১ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের ক্যাথলিক মিশন রোড, রুপশপুর, সবুজবাগ, মুসলিমবাগ, লালবাগ, বিরাইমপুর এবং শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কালিঘাট রোড ও শ্যামলী এলাকা। কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর, কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর এবং কুলাউড়া পৌরসভার মাগুর ও মনসুর এলাকায় ১৪ জুন রেড জোন ঘোষণা করে তার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী ২১ দিন পর্যন্ত। এসব এলাকায় ২১ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।