করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থাসহ ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সেবাধর্মী কাজে এরই মধ্যে সারাদেশে প্রশংসা কুড়ানো বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে করোনায় আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালটি গড়ে তুলছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বি কে কনভেনশন সেন্টারে অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষায়িত এই হাসপাতাল। এর নাম নির্ধারণ করা হয়েছে সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হসপিটাল।
সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ রোগী প্রতিদিন বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ও জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিএমপি ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি হাসপাতাল তৈরির কাজ আমরা শুরু করেছি। সিএমপি এই হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা, জনবল নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক জামাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। একটি ভবনে প্রাথমিকভাবে ৫০ শয্যা দিয়ে হাসপাতাল শুরু হবে। পরে ১০০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হবে। এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম থাকবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ১২ চিকিৎসক সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবায় থাকবেন। পাশাপাশি ১৮ জন নার্স ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি অক্সিজেন ও চিকিৎসার অভাবে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। মানুষ অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাই আমরা ভাবলাম, এখানে একটা ফিল্ড হাসপাতাল করলে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। আমরা অক্সিজেনের প্রাপ্তিটা নিশ্চিত করবো। শিগগির এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপনের কাজ শুরু হবে। থাকবে পোর্টেবল অক্সিজেন। আশা করি, জুলাইয়ের শুরু থেকে আমরা করোনা রোগীদের সেবা দিতে পারবো।
হাসপাতাল নির্মাণে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করছে বলে জানান জামাল উদ্দিন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ফিল্ড হসপিটাল চালু হবে বলে আশা করছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।