আক্রান্ত জেলা থেকে অবাধে প্রবেশের সুযোগে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হটস্পটে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দেড়শ থেকে দু’শ করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে এখানে।
হাসপাতালেও এখন আর রোগীদের স্থান হচ্ছে না। ১৩০ শয্যার দু’টি হাসপাতালের বিপরীতে বর্তমানে রোগী সংখ্যা দু’হাজারের বেশি। আর চিকিৎসা ব্যবস্থাও সীমিত হয়ে যাওয়ায় আক্রান্তসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের নতুন মাইলফলকে পৌঁছে গেল চট্টগ্রাম। সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া ২১৫ জনসহ মোট করোনা পজিটিভের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন ২২০০ জনে।
বুধবার (২৭ মে) চট্টগ্রামের চারটি ল্যাবে ৬০২টি নমুনা পরীক্ষায় ২১৫ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৮২ জন নগরের ও ৩৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রামকে করোনা সংক্রমণের হটস্পট হিসেবেই চিহ্নিত করছেন সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে নাই। তাই আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিত হয়েছে।
নগরীতেই প্রতিদিন দেড়শোর বেশি রোগী শনাক্ত হলেও করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে মাত্র দু’টি। যেখানে আবার শয্যা সংখ্যা মাত্র ১শ ৩০। করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরও রোগী নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছে স্বজনেরা। ফলে আক্রান্ত রোগী থেকে সংক্রমণের হারও ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
স্বাচিপ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান বলেন, আড়াই মাস ধরে এসমস্ত গল্প শুনছি। প্রাতিষ্ঠানিক হাসপাতাল হবে, তবে এরকম কিছুই এখনও হয়নি।
চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার বেশক’টি কারণ চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা। গার্মেন্টস এবং বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রাখাকে কারণ হিসেবে দেখছেন তারা।
বিএমএ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম মুইজ্জুল আকবর চৌধুরী বলেন, রোগী আছে কিন্তু হাসপাতালে নেই কোনো বেড। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভয়াবহ চিত্র।
তবে শেষ পর্যায়ে এসে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং খুলশীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।