ভারত মহাসাগরের নিচের বিশাল টেকটনিক প্লেট ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যাচ্ছে বলে একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের শঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক পৃষ্ঠের যেসব খণ্ড ম্যান্টেলের ওপর পৃথকভাবে সঞ্চরণশীল থাকে, সেগুলোর প্রতিটিকে প্লেট বলা হয়। বর্তমানে পৃথিবীপৃষ্ঠের প্লেটগুলো সেগুলোর মতোই। টেকটনিক প্লেট একটু এদিক-ওদিক হলেই ঘটে যেতে পারে নারকীয় ভূমিকম্প।
লাইভ সায়েন্স ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মকরাঞ্চলের ওই প্লেটটি প্রতি বছর ০.০৬ মিলিমিটার করে সরে যাচ্ছে।
এই গতিতে চলতে থাকলে বিভক্ত প্লেটের এক মাইল দূর যেতে ১০ লাখ বছর সময় লাগার কথা।
পৃথক হওয়ার এই গতি আপাত দৃষ্টিতে খুব ধীর মনে হলেও বিজ্ঞানীদের কাছে ভীষণ চিন্তার। গবেষক অরলি কৌদুরিয়ার-কার্ভুর যেমনটি বলছেন, ‘ধীরে সরতে থাকলেও অন্য গ্রহের বাউন্ডারির তুলনায় এটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এখনো পানির নিচে আছে, তাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না আসলে কী ঘটছে সেখানে।’
প্রায় ৮ বছর আগে ভারত মহাসাগরে দুটি ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন থেকেই বিজ্ঞানীরা কিছু পরিবর্তন আঁচ করেন।
প্লেটের এই পরিবর্তন নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু না থাকলেও ২০ হাজার বছর বাদে পৃথিবীর ভয়াবহ বিপদ হতে পারে।
বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সে জানিয়েছে, আট বছর আগে একবার ভারত মহাসাগরের নিচে ভূমিকম্প হয়েছিল। তার পর থেকেই ওই প্লেটের এই পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন বিজ্ঞানীরা। ইনস্টিটিউট অফ আর্থ ফিজিক্স অফ প্যারিসের বিজ্ঞানীরাই এই তথ্য সামনে এনেছেন।
আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এই দুটি প্লেটের সরে যাওয়ার গতি খুবই ধীর। কিন্তু এভাবেও চলতে থাকলে এক মাইল দূর যেতে দুটি প্লেটের ১০ লক্ষ বছর সময় লাগার কথা। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটাই ঘটছে জলের তলায়। ফলে ঠিক কী কী পরিবর্তন চলছে তা সবসময় নজরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
দুটি প্লেটের আলাদা হয়ে যাওয়ার গতি কম হলেও বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ এভাবে প্লেট সরে যাওয়ায় ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। তবে অদূর ভবিষ্যতেই যে বড়সড় কোনও ভূমিকম্প হবে তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলছেন না বিজ্ঞানীরা।
২০১২-তে এই প্লেটে ভূমিকম্প হয়েছিল। যার মাত্রা ছিল ৮।