চট্টগ্রামে আজ একলাফে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, সিভাসু, চমেক ও কক্সবাজারে ৩৬৯ নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১২ জনে।
বুধবার (১৩ মে) রাতে বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা শেষে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
বিআইটিআইডিতে ২৩১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ফলাফল পজিটিভ আসে ৪৯ জনের। এর মধ্যে ৩৩ জন চট্টগ্রামের। ভিন্ন উপজেলার ৫ জন আছেন। এছাড়া ভিন্ন জেলায় রয়েছেন ১১ জন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটিতে (সিভাসু) ৪৬ টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ২০ টি পজিটিভ। চট্টগ্রাম জেলায় ১২ জন, সবাই বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া সিভাসুর ল্যাবে ভিন্ন জেলার ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রামের ৪৫ টি পজিটিভ। মহানগর এলাকায় ৪১ টি ও উপজেলায় ৪ টি।
এদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চট্টগ্রাম জেলার ২টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ২ টিতেই নেগেটিভ এসেছে।
চট্টগ্রাম জেলায় শনাক্ত হওয়া ৯৫ জনের মধ্যে ৭৪ জন চট্টগ্রাম নগরীর ও বাকি ২১ জন বিভিন্ন উপজেলার।
নগরীর ৭৪ জনের মধ্যে পুলিশের সদস্য রয়েছেন ১৩ জন। এর মধ্যে সদরঘাট থানার ওসিসহ ওই থানার মোট ১০ জন সদস্য করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। বাকি ৩ জন দামপাড়া পুলিশ লাইনের।
এছাড়াও করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে আরও ৩ ডাক্তারের শরীরেও। এদের একজন চমেক হাসপাতালের ১২ নং ওয়ার্ডের ৪১ বছর বয়সী, একজন পাহাড়তলী এলাকার ৪০ বছর বয়সী ও অন্যজন বারিক বিল্ডিং ফকিরহাট এলাকার ৫৯ বছর বয়সী ডাক্তার। করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া এই ৩ ডাক্তারই পুরুষ।
এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় শনাক্ত হওয়া ২১ জনের মধ্যে ১২ জনই বাঁশখালী উপজেলার। বাঁশখালীতে আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে ৮ মাস ও ২২ মাস ও ৫ বছর বয়সী তিন শিশু, ৫৮ বছর বয়সী পুরুষ, ৫০ বছর বয়সী নারী, ৫৬ বছর বয়সী পুরুষ, ২০ বছর বয়সী নারী, ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা, ৩০ বছর বয়সী নারী, ৪৮ বছর বয়সী নারী, ৪২ বছর বয়ষী পুরুষ ও ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধ রয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮০ জন।