চট্টগ্রামে করোনাভইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের আগেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মারা যাওয়া ব্যক্তির এলাকাগুলো এখন হট জোনে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই পজিটিভ এসেছে মৃত্যুর পর। এতে এলাকাগুলোতে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, নানা উপসর্গ দেখা যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন সিভিল সার্জন।
স্যাম্পল কালেকশন এবং নমুনা পরীক্ষার ফলাফল বিলম্বিত হওয়ার কারনও একেবারে উড়িয়ে দেবার মত নয়।
গত ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রথম এক বৃদ্ধ শনাক্তের আগে মারা গিয়ে ভাইরাস ছড়িয়েছেন তার ছেলেসহ অন্তত ৬ জনের শরীরে। এরপর গত এক মাসে মৃত্যুর পর শনাক্ত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। এতে সংক্রমণ বাড়ছে। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ উপসর্গ দেখা দিলে নানা সহায়তা চেয়েও পাননি তারা।
তবে সিভিল সার্জনের দাবি, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে দ্রুত সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন তারা।
সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, আমাদের কিছু কিছু রোগী এসেই মারা গেছে। সেই সময় আমাদের স্যাম্পল নেয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শনাক্ত করে রোগীকে পৃথক করা না গেলে ঠেকানো যাবে না সংক্রমণ। চিকিৎসকরা বলছেন, মারা যাওয়াদের অনেকের নানা রোগ ছিল। আবার সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে নিজেদের লুকাচ্ছেন অনেক রোগী।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক অসিম কুমার নাথ বলেন, প্রত্যেকেরই অন্য রোগ আছে। অন্য রোগের কারণেই করোনা আরো খারাপের দিকে গিয়ে মারা গেছেন।
বি এম এ সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল বলেন, করোনা রোগীকে কেউ ভালোভাবে নেয় না, ফলে অনেকেই না জানিয়ে বাসায় থাকতে গিয়ে মারা গেছেন।
চট্টগ্রামে মৃত্যুর পর করোনা রোগী শনাক্ত হওয়া সাতকানিয়া, দামপাড়া, পাহাড়তলী,সরাইপাড়া এখন করোনার হট জোন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসে কর্মরত কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন জানা যায় গতকাল ১০ মে পজিটিভ রির্পোট পাওয়ার পর। কিন্তু গত ০৩ মে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মাঝখানে আট দিনের একটা বিশাল সময়ের ব্যবধানে সংক্রমনিত হওয়া এবং সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার কারন হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।