হালদা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার একটি নদী। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে হালদা নদীতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউসের মতো কার্প জাতীয় মাতৃমাছ প্রচুর পরিমাণ ডিম ছাড়ে। এসময় হালদা নদীতে মাছ শিকার বন্ধ এবং জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির নিমিত্তে টহল পরিচালনা করা হয়।
শুক্রবার (৮ মে) সন্ধ্যায় হালদা নদীতে মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের টহল জোরদার করা হয় বলে জানান, ইনচার্জ জনাব মোঃ জাব্বারুল ইসলাম।
মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জনাব মোঃ জাব্বারুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে হালদাতে মাছ শিকার সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ। এ পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্গীয় এএসআই আবদুল বাতেনসহ ফোর্স নিয়ে মদুনাঘাট এলাকা দিয়ে বহমান হালদা নদীতে মাছ শিকার বন্ধ এবং জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির নিমিত্তে টহল পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও জানান, মাছ শিকারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়েরজুড়ে নিয়মিতভাবে টহল অব্যাহত রাখা হবে। অত্র মদুনাঘাট এবং আশপাশ এলাকার সকল জনসাধারনকে দেশের মৎস্য সম্পদ সম্বৃদ্ধির লক্ষ্যে, এসময় মাছ শিকার থেকে নিজে বিরত থেকে অপরকে মাছ শিকার না করতে উদ্ভুদ্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি।
হালদা নদীর ঐতিহ্য তুলে ধরে ইনচার্জ জাব্বারুল ইসলাম সিএনএন ক্রাইম নিউজকে বলেন, হালদা নদীকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি চট্টগ্রামবাসী অনেকদিন ধরেই করে আসছে। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণার জন্য দশটি শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে একটি শর্ত পূরণ করতে পারলেই বিশ্ব ঐতিহ্যের যোগ্যতা অর্জন করবে। এক্ষেত্রে হালদা নদী দুটি শর্ত সম্পূর্ণভাবে এবং একটি আংশিকভাবে পূরণ করে। সুতরাং হালদা নদী বিশ্ব ঐতিহ্যের জন্য একটি সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা এ দেশীয় ঐতিহ্যকে সংরক্ষন করতে বদ্ধ পরিকর।