চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকার পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় নব্য জেএমবির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের চেক পোস্টে হামলার ঘটনায় নব্য জেএববির গ্রেফতারকৃত ৩ আসামী আদালতে ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু বিস্ফোরক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মে) বিকেলে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ।
এর আগে রবিবার (৩ মে) বিকেলে নগরীর বাকলিয়া থানার ডিসি রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ ঢেমশা হাদুরপাড়া এলাকার মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল্লাহ (২৪), দক্ষিণ মারফলা এলাকার মনির আহমদের ছেলে মো. এমরান (২৫) ও উত্তর ঢেমশা মাইজপাড়া এলাকার মহরম আলীর ছেলে মো. আবু সালেহ (২৫)।
এদের মধ্যে মো. সাইফুল্লাহ চকবাজার এলাকার নুরা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী, এমরান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এবং আবু সালেহ ন্যাশনাল পলিটেকনিকের ছাত্র।
পুলিশ জানায়, নব্য জেএমবির সাত সদস্য পরিকল্পিতভাবে রিমোট কন্ট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গত ফেব্রুয়ারি পুলিশ বক্সে হামলা করে। এই ঘটনায় একজন ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন জন আহত হন। এই ঘটনায় দীর্ঘ অনুসন্ধান ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হামলাকারী নব্য জেএমবির সদস্যদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
বোমা হামলার সাথে নব্য জেএমবি’র সাত জন সদস্য সম্পৃক্ত ছিল বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। এদের মধ্যে রবিবার তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারকৃতরা পরস্পরের যোগসাজশে রিমোট কন্ট্রোলের সহায়তায় দুই নম্বর গেটে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর কথা স্বীকার করে।
বিস্ফোরণের ফলে সার্জেন্ট মো. আরাফাত হোসেন ভূঁইয়া ও এএসআইসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। অনলাইনে পাওয়া অপ্রচলিত মোবাইল ফোন অ্যাপস ব্যবহার করে ঐ অ্যাপসের মাধ্যমে দলের সকল সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে বোমা (আইইডি) তৈরির বিভিন্ন ভিডিও আদান প্রদান করে সেই অনুসারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা।