অফিস থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পড়ে ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান মিলেছে। তাকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বিজিবি।
শনিবার (২ মে ) দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় বেনাপোল পুলিশ ফোন করে কাজলের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মোবাইল ফোনে শফিকুল ইসলাম কাজলের সঙ্গে কথা বলছেন। তাকে আনতে যশোর যাচ্ছেন।
কাজলের ছেলে মনোরম পলক সাংবাদিকদের বলেন, রাত ২টা ৪৮ মিনিটের দিকে তাকে ফোন করে তার বাবার অবস্থান জানানো হয়।
‘বাবা এখন বেনাপোল পুলিশ স্টেশনে আছেন। তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও সেখানে গিয়ে তাকে নিয়ে আসতে বলেছেন আমাদের।
বিজিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে সাংবাদিক কাজলকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে পুলিশ বা বিজিবির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফটোসাংবাদিকতার পাশাপাশি ‘পক্ষকাল’ ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছিলেন শফিকুল ইসলাম কাজল। গত ১০ মার্চ বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বাসা থেকে বের হন। আনুমানিক রাত ৮টার থেকে তার দু’টি মুঠোফোনই বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি।।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হাতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেদিন বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে মোটরবাইকে শফিকুল ইসলাম কাজল রাজধানীর হাতিরপুলে মেহের টাওয়ারে তার অফিসে পৌঁছান। এরপর বাইকটির আশপাশে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
বিকাল ৫টা ৫৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের মধ্যে তিনজন ব্যক্তি আলাদা আলাদাভাবে মোটরবাইকটির কাছে যায় এবং অযাচিত হস্তক্ষেপ করে। এরপর ৬টা ১৯ মিনিটে কাজলকে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে অফিস থেকে বের হয়ে নিজের বাইকের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। পরে তিনি ফিরে আসেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে একা বাইকে চড়ে চলে যান।
তারপর থেকেই কাজলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, একটি মহল তার পেশাগত কাজে ক্ষুব্ধ ছিলেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলাও করা হয়।
ঘটনার পরের দিন ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী।