চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজারে পুলিশ হেফাজতে এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোকান থেকে কাপড় বের করার সময় টেরিবাজার এলাকায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গিরিধারী চৌধুরী (৫৮) টেরিবাজারের প্রার্থনা বস্ত্রালয়ের কর্মচারী। তার বাড়ি চট্টগ্রাম পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায়।
তার সহকর্মীদের অভিযোগ পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে মারধর করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইফতারের আগে লকডাউন ভেঙ্গে দোকান খুলে চার বস্তা কাপড় রিকশায় তোলার সময় আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
তাদের অভিযোগ তিনি আগেও মালিকের অগোচরে দোকান থেকে কাপড় সরিয়েছেন। পুলিশ কাপড়সহ তাকে পাশের ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পুলিশ তার মালিককে আসতে বলে।
এর মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, তিনি আগে থেকে হার্টের রোগী ছিলেন বলে শুনেছি। পুরো ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।
ওই কর্মচারীর মৃত্যুর পর লোকজন জড়ো হয়ে কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুলকে দায়ী করে বিচার দাবি করেছে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই এলাকায় টহল টিমে থাকা কোতোয়ালী থানার এএসআই কামরুল ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।