আমরা কি করোনামুক্ত! যেখানে রাতদিন করোনা নিয়ে এত ভয় এত আশংকার কথা বলা হয়। করোনার প্রকোপ শেষ হওয়ার আগেই নগরীর সিইপিজেড, কেইপিজেড সহ বিভিন্ন শিল্প এলাকার দেড় শতাধিক পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কেন, কি এমন সুসংবাদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে করোনা নিয়ে! কেন এমন বিশৃংখল সিদ্ধান্ত! এটা সম্ভবত বিরুদ্ধাচরন……।
সকাল হতেই দল বেঁধে এসব কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাচ্ছেন আর ফিরছেন সন্ধ্যায়। গণপরিবহন কম থাকলেও চাকরি বাঁচাতে করোনার ভয় উপেক্ষা করেই তাদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৬ এপ্রিল) থেকে ইপিজেড এলাকার বাইরে ৮০টি কারখানা চালু করা হয়। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানায় প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে প্রশ্ন, আসা-যাওয়াটা কতটুকু সুরক্ষিত করলেন! এসব কর্মীরা আসা যাওয়ার পথেও সংক্রমিত হতে পারেন।
বেপজা সূত্রে জানা গেছে, সিইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেডে ৯৫টি কারখানা চালু করা হয়েছে। এসব কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন।
এছাড়া নগরীর আগ্রাবাদ, কালুরঘাট, বায়েজিদ, নাসিরাবাদ, পাহাড়তলী, চেরাগী পাহাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে।
কারখানা মালিকরা বলছেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই এসব কারখানা চালু করা হয়েছে। শ্রমিকদের সবসময় মাস্ক ব্যবহার এবং বারবার হাত ধোয়ার ব্যাপারে অবহিত করা হচ্ছে।
বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ বলেন, কারখানা চালু করার আগে শ্রমিক ভাই-বোনদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আরএমজি সেক্টর আমাদের দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কারখানার চাকা থেমে গেলেও শ্রমিক-মালিক একসঙ্গে জীবন বাঁচাতে জীবিকা রক্ষায় থাকতে হবে একে অপরের পরিপূরক হয়ে।
ইপিজেড এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের সাথে ওরা জানান, এই রমজান মাসে করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে পেটের দায়ে বের হয়েছি। কি আর করা আমাদের দেখার মালিক একমাত্র আল্লাহ।
পাশে থাকা একজন বলে উঠেন, করোনা আমাদের করুনা করবে। পেটের দায়ে যাচ্ছি কর্মস্থলে। আল্লাহ সহায়।
করোনার প্রভাবে পোশাক রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ার পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। ২ শতাংশ সুদে ঋণ হিসেবে মালিকরা এই অর্থ নিতে পারবেন, যা শুধু শ্রমিকদের বেতন দিতে ব্যয় করা যাবে।