করোনা থাবা বসিয়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ঘরে। এ যেন মরার উপর খাড়াঁর ঘা। নেই উপার্জন, থেমে নেই সংসার খরচ। সস্তায় টিসিবির পণ্য কিনতে চট্টগ্রামেও নিম্নবিত্তের কাতারে এখন মধ্যবিত্তরা।
করোনা সংকটের কারণে মধ্যবিত্তরা এসব পণ্য কিনতে ভিড় করায় বাড়ছে চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ না বাড়ায় পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ সর্বস্তরের মানুষের। তবে টিসিবি কর্মকর্তার দাবি, চাহিদা বাড়ায় ১৫টির পরিবর্তে ৩৫টি পয়েন্টে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।
কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে চট্টগ্রাম নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে নিম্নবিত্তরা। মহামারী সংকটে এ কাতারে যুক্ত হয়েছে মধ্যবিত্তরাও। তাই প্রতিদিন বাড়ছে পণ্যের চাহিদা। কিন্তু সরবরাহ না বাড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিজেদের একটু আড়াল করে লাইনে দাঁড়িয়েও খাদ্যসামগ্রী না পাওয়ায় হতাশ তারা।
অপেক্ষমান একজন নারী জানান, তিনদিন এসে চলে গেছি। আজ দাঁড়িয়েছি, কিন্তু দীর্ঘ লাইন। চাহিদার জিনিজসপত্র পাব কি-না, জানি না। সরকার মধ্যবিত্তের জন্য কি ব্যবস্থা করেছে জানিনা তবে যাই করুক দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেচেঁ থাকার একটা সুযোগ করে দিবেন।
অন্য আরেকজন জানান, আমার সামনে ৫০ জন রয়েছে। সে পর্যন্ত কি হয়…।
প্রতিটি পয়েন্টে তেল, ডাল, চিনিসহ সাড়ে ৩০০ জন পণ্য পাওয়ার কথা। কিন্তু ভোক্তাদের অভিযোগ, ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ পাচ্ছে পণ্য। তবে টিসিবি কর্মকর্তার দাবি, চাহিদা বাড়ায় নগরীর ১৫টির পরিবর্তে এখন ৩৫টি পয়েন্টে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।
এ অবস্থা দুর্যোগের এ সময় বিতরণের পয়েন্ট এবং পণ্যের পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ক্যাবের সভাপতি এস এম নাজির হোসেন।
তিনি বলেন, খাদ্য ও নিত্যপণ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সাধারণ মানুষের ঘরে যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। সেজন্য এখানে পণ্য বাড়ানোটাই মূল দায়িত্ব। তাহলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা সহজেই টিবিসি থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
অন্যদিকে টিসিবিতে পণ্যের জন্য হাহাকার হলেও নগরীর অভিজাত এলাকা চন্দগাঁও আবাসিকে মেসার্স সবুর নামে একজন ডিলার ট্রাকভর্তি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও সেখানে ক্রেতার ভিড় নেই।
লাইনে দাঁড়ানো মাঝবয়সী একজন জানান, আমি দোকানে সেলসম্যানের কাজ করি। দোকান বন্ধ কাজ নেই। আমাদেরতো জমানো টাকা নেই, বসে বসে খাবো। যা ছিলো সব শেষ। এখন ধার-দেনা করবো তারও কোনও সুযোগ নাই। ৫ জনের সংসার, কাউকে কিছু বলতেও পারিনা মান সম্মানের ভয়ে। লাইনে দাঁড়িয়েছি আটা নেবো বলে। দেখা যাক পাই কি-না!