হাটহাজারীর মেখল এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে করোনা রোগীর ক্লিনিক খুলে বসা এক ভুঁয়া ডাক্তারকে হাতে নাতে ধরেছে উপজেলা প্রশাসন। মেখল রোডের নাসরিন ভবনের দুই বেডের ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) হাটহাজারীর মেখল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
হঠাৎ হোমিও চিকিৎসক থেকে ভোল পাল্টে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক বনে যান রাতারাতি। নিজের নামের পাশে লিখতে শুরু করেন এমডি, পিএইচডিসহ নিউরোলজি ও মেডিসিনের ওপর নানা ডিগ্রির নাম।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে নিজের ফ্ল্যাটের এক রুমে দুই বেডের একটি ক্লিনিক তৈরি করে চিকিৎসা দিতে শুরু করেন করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের।
মো. রুহুল আমিন নিজের ভেরিফাইড করা ফেসবুকে জানান, মেখল রোডের নাসরিন ভবনের দুই বেডের ক্লিনিকটি বন্ধ করা হয়েছে। উনি বাংলাদেশের কোনো মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেননি, উনি নিজেই বলেছেন। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
সূত্র জানায়, মো. সোলায়মান নামের ওই কথিত ডাক্তার ১০-১২ বছর আগে হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। ৪-৫ বছর আগে হঠাৎ তিনি নিজেকে এমবিবিএস, এমডি, পিএইচডিসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা ডিগ্রিধারী চিকিৎসক দাবি করে চিকিৎসা দিতে শুরু করেন।
অভিযানের সময়ও তার ক্লিনিকে দুইজন রোগী ভর্তি পাই প্রশাসন। ভর্তি দুই রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বয়স ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মো. সোলায়মানকে কোনো জরিমানা না করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।