সারা বিশ্ব এখন কাঁপছে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে। এর বিষাক্ত ছোবলে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৬টা পর্যন্ত) আক্রান্ত হয়েছে ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৩০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪১ জনের।
সারা বিশ্বকে পিছনে ফেলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের সফলতম রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এশিয়ার দেশ ভারতেও থাবা বসিয়েছে মারনঘাতী করোনাভাইরাস। তবে দেশটিতে ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে তুলনামূলক কম গতিতে এগোচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু হার।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত ভারতে মাত্র ৮ দিনে দ্বিগুণ হয়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এই ৮ দিনে ১০ হাজার থেকে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ হাজারে।
তবুও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে ভারতে করোনাভাইরাসের গতি কম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি মার্কেট রিসার্চ কোম্পানি ‘মর্নিং কনসাল্ট’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির তুলনায় ভারত অনেক ভালভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছে।
কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা লকডাউনকে মনে করছেন কার্যকর পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন। এতে বলা হয়েছে, লকডাউনের কারণে ইউরোপ-আমেরিকার মতো ভারতে দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। বরং এর সুবাদে ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে যাচ্ছে দেশটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চের শুরুতে আক্রান্ত ৩ জন থেকে ১০০ জনে পৌঁছতে ২ সপ্তাহ সময় লেগেছিল। এরপর আরও দুই সপ্তাহ সময় লেগেছিল আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারে পৌঁছতে। এর পরের ধাপে এই সংখ্যাটা ১০ হাজারে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ২ সপ্তাহের আরও একটু বেশি। এই গতিতে চললে এই মাসের শেষ নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছার কথা। তবে লকডাউন ও অন্যান্য পদক্ষেপের সুবাদে এই মাসের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজারের মধ্যেই আটকে যাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।