করোনা দুর্যোগের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) ই-মেইল যোগে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে. আর. খান (রবিন)। এই নোটিশের অনুলিপি জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রনালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের (স্বাস্থ্য সেবা) সচিব বরাবর পাঠান হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেছেন, করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল চীনে হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বজুড়ে এটি বিস্তৃত। এই ভাইরাসের কারণে মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। আর করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার যাবতীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এই করোনাভাইরাস মোকাবেলাসহ দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে নানা রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছেন।
তবে একাধিক দৈনিক প্রত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবরের আলোকে আইনজীবী জে আর খান রবিন জানতে পেরেছেন উল্লেখ করে এই নোটিশে বলেন, করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যথাযথ প্রদক্ষেপ নিতে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছেন।
এ ব্যর্থতার কারণে ২২-০৪-২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত দেশের ১৭০ জন ডাক্তার, ১০০ জন পুলিশ, ২৮ জন সাংবাদিক ৭ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নার্স সহ ৩৩২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে ১১০ জন মৃত্যু বরণ করেছেন। ডাক্তারদেরকে ইতি পূর্বে স্বয়ংসম্পূর্ন বা কার্যত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি অর্থাৎ পি পি ই সরবরাহ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাছাড়া ডিসিপ্লিনারী ফোর্স, সাংবাদিক ও করোনা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের জন্য যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা গ্রহন করতেও ব্যর্থ হয়েছেন।
দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমতাবান ও দায়িত্বশীল। তাই এর দায় তিনি কোন ভাবে এড়াতে পারেন না। আর বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
সার্বিক বিবেচনায় প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ তার পদ থেকে পূর্বেই পদত্যাগ করা যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেন নাই, তাই অত্র নোটিশ প্রেরণ করে নোটিশ প্রাপ্তির পর যত শিগগির সম্ভব পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তার অবিচক্ষন কার্যকালাপের জন্য সৃষ্ট সব ধরনের ক্ষতির জন্য তিনি দায়ী থাকবেন।