ফটিকছড়িতে কর্মরত এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ফটিকছড়ি উপজেলা লকডাউন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর তিনটা থেকে ফটিকছড়ি উপজেলা লকডাউন করার ঘোষনা দিয়েছেন প্রশাসন।
এর আগে বুধবার রাতেই নাজিরহাট হাসপাতালের উত্তর পাশে ৫ তলা ভবনটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সৈয়দ নজিবুল বশর জানান, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে ফটিকছড়ি লকডাউন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, খাগড়াছড়ির গাড়ি প্রয়োজনে মিরশ্বরাই দিয়ে যাবে, কিন্তু ফটিকছড়ির মধ্য দিয়ে কোন গাড়ি আর যেতে পারবে না। যদি কেউ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত না মানেন তা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মুঠোফোনে সিএনএন ক্রাইম নিউজকে জানান, আমরা সত্যিকার অর্থেই লকডাউন করতে চাই। লকডাউনের নামে শোডাউন মোঠেই বরদাশত্ করা হবেনা। আমি একজনের জন্য পুরো ফটিকছড়িকে হুমকির মধ্যে ফেলতে চাইনা।
তিনি আরও জানান, আমার ফটিকছড়িবাসী আমাকে সহযোগীতা করবেন। সবাই ঘরে থাকবেন। প্রয়োজনে খাবার ঘরে পৌঁছে দেয়া হবে। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন যে কোন সমস্যায় আমাকে জানান আমি এলাকায় আছি এবং এ দুর্যোগময় মুহুর্তে এলাকায় থাকবো।
এদিকে ফটিকছড়িতে যে চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাকে বৃহস্পতিবার সকালেই তার পরিবারসহ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই চিকিৎসক ফটিকছড়ি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে তার বাড়ি সাতকানিয়ায়।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার বলেন, চিকিৎসক আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা যাবে না। আমরা ওই চিকিৎসকের সব কিছু ট্রেসিং করে ব্যবস্থা নেবো। তিনি সাতকানিয়া থেকে সংক্রমিত হতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে ডা. আব্দু্ল বাসেত হাসান অসুস্থ বোধ করেন। তাই , করোনা পরীক্ষার জন্য উনার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম পাঠানো হলে পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ ধরে ডা. আব্দুল বাসেত হাসান ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।