করোনায় অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছেন আলহাজ্ব জহির আহম্মদ কোম্পানী ফাউন্ডেশন। করোনার এই সময়ে দিনের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে আশপাশে হতদরিদ্র খেটে খাওয়া ৯টি ওয়াডের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন ফাউন্ডেশনের পক্ষে বুড়িশ্চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিক।
করোনার প্রার্দুভাবে সারাদেশ যখন অবরুদ্ধ, খেটে খাওয়া মানুষ হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। জাতির এই মহাসংকটকালীন সময়ে বুড়িশ্চরবাসীর পাশে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিলো আলহাজ্ব জহির আহম্মদ কোম্পানী ফাউন্ডেশন।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিক সিএনএন ক্রাইম নিউজকে মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসা প্রসঙ্গে বলেন, আমি গ্রামের ছেলে। আমি গ্রামেই বড় হয়েছি। অনেক ছোট থেকেই আশপাশের গ্রামের মানুষের সঙ্গে আমার ভালো সুসম্পর্ক। তাঁরা সবাই আমাকে ভালোবাসেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন দিনমজুর। যাঁরা দিনে যা আয় করেন, সেই উপার্জন দিয়ে খেয়ে–পরে কোনোমতে বেঁচে থাকেন। তাঁদের বাড়তি কোনো সাধ–আহ্লাদ নেই। তাঁরা বেশির ভাগ পেশায় রিকশাচালক, কেউ ভ্যানচালক, চা দোকানদার, নাপিতের কাজ করেন কেউ, অনেকে মুচি। তাঁরা কেউই এই দুর্যোগে কাজ করতে পারছেন না।
সরকারি আদেশে তাঁরা ঘরে আছেন। খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলোর কর্ম না থাকায় চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। আমি শুনেছি অনেকেই ঠিকমতো পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকের ঘরে বলতে গেলে খাবার নেই। তখনই সিদ্ধান্ত নিই এই দুঃসময়ে তাঁদের নিয়ে একসঙ্গে যতটুকু ভালো থাকা যায়, তার চেষ্টা করব। এই ভ্যানচালক, চা দোকানদার, নাপিত, মুচি তাঁদের জন্য মন কাঁদে ভাই। এ জন্যই এগিয়ে এসেছি।
তিনি আরও জানান, সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি আমার পিতার নামে গড়ে তোলা আলহাজ্ব জহির আহম্মদ কোম্পানী ফাউন্ডেশন থেকে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে ১ হইতে ৯ নম্বর ওয়াডে এ পর্যন্ত এক হাজার তিনশত পরিবারকে ত্রানসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। সরকারি নির্দেশনা মত সামাজিক দুরত্ব মেনে এসব ত্রান সামগ্রী দিয়েছি।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে না ঘাবড়ে সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ রফিক বলেছেন, এই সংকটে সবকিছু নিয়ে সরকারি ত্রান সাহায্যের পাশাপাশি আলহাজ্ব জহির আহম্মদ কোম্পানী ফাউন্ডেশন জনগণের পাশে আছে বলে জানান চেয়ারম্যান রফিক।
দলমত নির্বিশেষে সরকারি ত্রাণ আমার ইউনিয়নের সদস্যদের নিয়ে সমবন্ঠন করে ইউনিয়নবাসীর দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। এব্যাপারে আমি আমার ইউনিয়নের পরিদ সদস্যদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহযোগীতা পাচ্ছি। আমি এবং আমার ইউনিয়ন শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত বলে জানিয়েছেন ১৫ নং বুড়িশ্চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিক।
তিনি সিএনএন ক্রাইম নিউজকে আরও বলেন, আমি সবসময় ইউনিয়নবাসীর খবরা-খবর রাখছি। হাটহাজারি ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শ মত সকল কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করছি। কেউ যদি আমার সাথে যোগাযোগ করতে চায়, আমার দরজা চব্বিশ ঘন্টা খোলা আমার প্রিয় ইউনিয়নবাসীর জন্য। যারা মধ্যবিত্ত লোক লজ্জার ভয়ে কিছু বলতে কিংবা ত্রান নিতে সাহস পাচ্ছেন না আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে আমাকে জানান, কথা দিলাম পাশে থাকবো। আমায় জানান এ নাম্বারে ০১৮৪০-১২৬১৫৯।
ঘরে থকুন, সুস্থ থাকুন। নিরাপদে থাকুন। এ আধার কাটবেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম দয়ালু, ক্ষমাশীল।