চট্টগ্রামে প্রতিদিনই করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিধি বাড়ছে। চট্টগ্রামে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন মৃদু আকারে শুরু হওয়ায় এ মহামারি থেকে বাঁচতে মানুষকে বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি আরও বলেন, এটি চট্টগ্রামের জন্য চিন্তার বিষয়। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে এখন একটাই পথ খোলা, কোনোভাবেই যাতে কেউ বাসা থেকে বের না হয়।
ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আরও বলেন, চট্টগ্রামে কেউ যাতে প্রবেশ ও বের হতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য এলাকার মানুষ চট্টগ্রামে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। মৃদু কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বাসা থেকে বের না হওয়াই উত্তম। কারো যদি বের হতেও হয়, তাহলে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে বের হতে হবে। বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, চট্টগ্রামে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বিষয়টি এখন নিশ্চিত। আর কোনো সন্দেহ নেই।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নগর ও জেলায় শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার, ১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নগরের পাহাড়তলী থানার সড়াইপাড়া ও অপরজন ওই থানার কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে সড়াইপাড়া এলাকায় করোনা আক্রান্ত নারী (৫০) দুপুরে আইশোলসনে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, এক বৃদ্ধ ও এক নারীর মৃত্যু হলো করোনায়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, পাহাড়তলী-কাট্টলী-সাগরিকা এলাকায় করোনা ক্লাস্টার গ্রো করছে বলে ধারণা করছি। তবে সেটা আরও কয়েক দিন দেখতে হবে। যদি এটা হয়ও এর প্রভাব জানতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। যে সবজি বিক্রেতা আক্রান্ত তিনি ভ্যানগাড়িতে করে সবজি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়েছিলেন। তিনি কিভাবে আক্রান্ত হলেন তার কোনো লিংক পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা, ওই এলাকায় (পাহাড়তলি-কাট্টলী) মানুষের জটলা থেকে ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে। আরও তিনদিন দেখে প্রয়োজনে ওই এলাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে।