ছবি তুলে ত্রাণ কেড়ে নেয়া এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরাদ্দকৃত ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের দায়ে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯ এর ৩৪/৪ (ঘ) ধারায় অপরাধ করায়- তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ সমীচীন নয় মনে করে সরকার।
বর্ণিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছারকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন- ২০০৯ এর ৩৪ (১) অনুযায়ী তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এদিকে পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছারকে কেনো চূড়ান্তভাবে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল দুপুরে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে কর্মহীন দিনমজুরদের ত্রাণ বিতরণের পর ছবি তুলে তা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ত্রাণ নিতে আসা লোকজনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এর আগে ইউনিয়নভিত্তিক ত্রাণ বিতরণের হিসাব না থাকায় চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর চিঠি দেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন মেম্বার। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে অভিযোগ তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ত্রাণ অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মির্জাপুরের চেয়ারম্যান নুরুল আবছারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান।