মহামারী করোনায় জরুরি সেবা ছাড়া সকল ধরনের যাত্রীবাহী যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় সাধারণের প্রবেশ ও বাহিরের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এমন অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতেও থেমে নেই মাদক ব্যবসায়ীদের অপকৌশল।
জরুরি সেবা ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন ব্যবহার করে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচারের এবং বিক্রির চেষ্টায় থেমে নেই মানুষনামের অমানুষ মাদক কারবারিরা।
বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দু’চারটি বাঁশ দিয়ে সামাজিক দুরত্বের নামে লকডাউন করে রেখেছে এলাকার কিছু অতিউৎসাহী লোকজন। এরই মাঝে মাদক ব্যবসায়ী কিংবা ইয়াবা কারবারিরা মাদকের হাত বদল নিয়ে পাল্টিয়েছে কৌশল।
কোথাও কোথাও চলছে লকডাউনের নামে চাঁদাবাজি। সন্ধ্যার পর নিরিবিলি পরিবেশে মাদক কারবারিরা হয়ে উঠেছে সক্রিয়। সবাই যখন নিজ নিজ ঘরে তখন অলিগলিতে দেখা মেলে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতার।
উত্তর চট্টগ্রামের সকল পূর্বের ইয়াবা স্পটগুলো এখন জমজমাট। সকলে যখন করোনা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তখন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন মাদক কারবারিরা। আইন শৃংঙ্কলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেনীর উঠতি নেতার ভাব দেখিয়ে, দলীয় তকমা ব্যবহার করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, হাটহাজারির নজু মিয়া হাট এলাকায় একদিনে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাদক বানিজ্য চলে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন এলাকাবাসী। তারা বলেন, কিছু ছোট ছোট চায়ের দোকান এবং হাতেগোনা দু’একটা বিউটি পার্লারকে মিডল পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছেন মাদক কারবারিরা। যার সাথে জড়িত পার্লার কিংবা ওই চায়ের দোকানদার।
তারা আরও বলেন, ওরা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে। তারা কোন দলের পদ-পদবীতে নেই কিন্তু তাদের মাথার উপর বড় ভাইদের হাত আছেন। যে কারনে রা বহাল তবিয়তে আছেন রাজার হালে।
মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাব্বারুল সিএনএন ক্রাইম নিউজকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, তিনি নতুন এসেছেন এলাকায়, এরমাঝে করোনা নিয়ে বিভিন্ন কাজকর্মে পুলিশ প্রশাসন ব্যস্ত থাকেন। কেউ যদি সুযোগ নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও জানান, সামজিক সচেতনতার বিকল্প নাই। আমরা একসাথে কাজ করলে এদের মুলোৎপাঠন করা কঠিন হবেনা। আমাকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করুন। আমি এলাাবাসীর পক্ষে আছি।
নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা পাচারের নতুন রুট এখন মফস্বল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে চতুর পাচারকারী চক্র নতুন পরিকল্পনা করেছে।
মিয়ানমার থেকে সরাসরি ট্রলারে বঙ্গোপসাগর হয়ে এসব চালান চলে যাচ্ছে আশপাশের জেলায়। আর সেখান থেকে তা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।