চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানাথধীন মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্য কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক যুগান্তরের চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার নাসির উদ্দিন রকিকে লাঞ্চিতের ঘটনায় অভিযুক্ত হাটহাজারি মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন কুয়াইশ এলাকার চসিক শেখ মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজের সামনে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নাসির উদ্দিন রকি গণমাধ্যকে বলেন, আমার ছোট ভাই স্বাস্থ্যকর্মী, সে এপিক হেলথ কেয়ারে চাকরি করে। তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে রাউজানের বাড়ি থেকে নগরের আসকারদিঘী এলাকায় কর্মস্থল যুগান্তরের ব্যুরো অফিসে আসছিলাম। আমি ও আমার ভাইয়ের গলায় আইডি কার্ড ঝুলানো ছিল। পথে কুয়াইশ এলাকায় পৌঁছলে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর অতর্কিতভাবে আমার উপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় এগিয়ে এসে কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে নিবৃত্ত করেন একজন এএসআই।
সাংবাদিক নাসির উদ্দিন রকি বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদপত্র ছুটির আওতামুক্ত থাকার বিষয়টি জানানোর পরও কনস্টেবল জাহাঙ্গীর লাঠিচার্জ করে। বিষয়টি আমি চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও হাটহাজারী থানার ওসিকে জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ওসি মো. মাসুদ আলম। তিনি বলেন, সাংবাদিক পরিচয় না জানার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি ঘটনাস্থলেই সমাধান হয়ে গেছে। উনার (সাংবাদিক নাসির উদ্দিন রকি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জাব্বারুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিএনএন ক্রাইম নিউজকে বলেন, এটা একটা অনাকাংকিত ঘটনা। ঘটনাস্থলে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে পরে আবার আমাদের এস আই মামুন সাহেব সমাধান করে দেন।
ঘটনাস্থলে থাকা এসআই মামুন বলেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। আমার কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে বকা দিয়েছি। মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার কোনভাবেই কাম্য নয়। কনস্টেবল জাহাঙ্গীরকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি বা বন্ধ সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতের জন্য প্রযোজ্য হবে। স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি প্রতিষ্ঠান চলবে।