চট্টগ্রাম নগরীতে বেড়ে যাচ্ছে ধুলোবালির পরিমান। শীত আসতে না আসতে এ পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু এর প্রতিকারের জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পথচারীদের।এর থেকে রেহাই পাচ্ছেনা শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউই। ধুলোবালির ফলে পরিবেশ দূষিত হয়ে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে বায়ু দূষণ।
হাজেরা-তজু কলেজের শিক্ষার্থী রুবায়াত রুমি বলেন প্রতিদিন কলেজে আসার সময় ধুলোবালির যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছি। মাস্ক ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছেনা। কিছুক্ষনের মধ্যে মাথায় ধুলোবালিতে ভরে যায়। এ যেন দেখার কেউ নেই।অন্য এক শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম বলেন কাপ্তাই রাস্তারমাথা থেকে বহদ্দারহাট আসার সময় চোখেমুখে ধুলোবালিতে ভরে যায়।অনন্যোপায় হয়ে এমন কষ্ঠ সহ্য করে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। আরাকান রোড এখন ধুলোবালিতে ভরা এক জনপদ।
অপরদিকে শীতের প্রকোপের সাথে সাথে নতুন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। নগরে অতিরিক্ত ধুলোবালি কারণে রোগের পরিমান আরো বৃদ্ধি হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডাঃ মাঈনুল খান বলেন ধুলিবালির প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে সব বয়সী নারী পুরুষের শ্বাসকষ্ট, এজমা, সর্দি-কাশি, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, যক্ষাসহ শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যথা সময়ে প্রতিকার না করলে এক সময় তা ক্রনিক আকার ধারন করতে পারে।এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত। নগরীতে সিডিএ এবং ওয়াসার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কারনে রাস্তায় এবং বিভিন্ন স্থানে মাটি রাখার ফলে তা শূকিয়ে ধূলোবালির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মেয়র মহোদয়কে এ ব্যাপারে অবহিত করেছি। আমরা অনেকবার অনুরোধ করেছি মাটি সারানোর জন্য, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প বিধায় নগরের বিভিন্ন স্থানে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে্। তবে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তা নিরসনের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ধুলা দূষণের কারণে শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়। শিশুস্বাস্থ্য বিভাগে রোগীর প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে ভর্তি হয়। অন্যদিকে নগরীর প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ ভয়াবহ ধুলা দূষণের শিকার হচ্ছে।
সিএনএন ক্রাইম