রাজধানী ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে থাকা এক ব্যক্তির (৫৮) মৃত্যু হয়েছে। এ খবরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (৩০ মার্চ) দিনগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি সাতদিন ধরে কাশি-সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে সোমবার রাত ৮টার দিকে তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। করোনায় তার মৃত্যু হয়েছে কিনা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, তার স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন চলতি মাসের শেষের দিকে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে তার এক আত্মীয় ইতালি থেকে এসেছেন। এইসব তথ্য পেয়ে তাকে আমরা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে রের্ফাড করেছিলাম।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, মৃত্যুর সংবাদের সঙ্গে সঙ্গেই পুরো এলাকা লকডাউন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লকডাউনের শর্ত অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে দুইজনের দেহে করোনা শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে কোভিড-১৯ মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা জানান।