অবশেষে করোনার মারণ বাণ তৈরি ৷ কোভিড ১৯-এর মোকাবিলা করতে হাজির বিশেষ ন্যানোমেটেরিয়াল ৷ শরীরে ঢুকে যা মুহূর্তের মধ্যে গিলে খেয়ে শেষ করে ফেলবে করোনা ভাইরাসকে ৷ এই ওষুধ প্রয়োগে ৯৬.৫-৯৯.৯ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই দাবি চীনের বিজ্ঞানীদের ৷
এই মূহূর্তে বিশ্বের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ করোনা ভাইরাস অর্থাৎ কোভিড ১৯ ৷ বিশ্বে করোনায় মৃত ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ ৷ করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭ লক্ষ ২১ হাজার ৷ আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক ৷ ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত এখনও পর্যন্ত ২৫০০-র কাছাকাছি মানুষ ৷ ইতালিতে করোনায় মৃত ১১ হাজার ৷
সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭। এমন অবস্থায় করোনার হাত থেকে বাঁচার জন্য হন্যে হয়ে ওষুধ খুঁজছে গোটা পৃথিবী ৷
চীনের সরকারি মিডিয়া গ্লোবাল টাইমসের একটি ট্যুইটেই নতুন করে আশার আলো পেয়েছে গোটা বিশ্ব ৷ ট্যুইটে বলা হয়েছে,করোনার মোকাবিলার জন্য হাতিয়ার প্রস্তুত ৷ চীনা গবেষকদের দাবি, এই ওষুধ প্রয়োগে ৯৬.৫-৯৯.৯ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গিয়েছে ৷জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য গবেষকেরা একরকম ন্যানোমেটেরিয়াল বানিয়েছেন যা শরীরে প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস শুষে নেয় এবং এরপর তাকে ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত নিস্ক্রিয় করে ফেলে ৷
বৈজ্ঞানিকরা একে ভ্যাকসিন বা ওষুধ বলতে নারাজ ৷ তাদের মতে, এটা একটা জৈব অস্ত্র যাকে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্যই তৈরি করা হয়েছে ৷ ন্যানোমেটেরিয়াল হেলথকেয়ার ছাড়াও পেন্টস, ফিল্টার, ইনসুলেশন এবং লুব্রিকেট করার কাজেও ব্যবহার করা হয় ৷
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটা দেহে প্রবেশের পর শরীরের বাকি এনজাইমগুলোর মতোই কাজ করে ৷ আর এতেই আসে সাফল্য ৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চীনে মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজারেরও বেশি ছিল ৷ সেখানে প্রায় ৩৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ন্যানোমেটেরিয়াল প্রয়োগ করেই এসেছে সাফল্য ৷ তথ্যসূত্রঃ নিউজ১৮।