বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার ধারণ করেছে চীনের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। মানবজাতির কাছে একটা জীবন রক্ষার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষস্থানীয় জরুরি পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুধু কোনো অঞ্চল লকডাউন বা বন্ধ করে দিলেই হবে না। বরং পুনরায় এই ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে সমগ্র মানবজাতিই হুমকির মুখে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ভাইরাসটি মোকাবেলায় বিশ্বের সব দেশের নেতাদের একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস রোধে শুধু লকডাউন যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস রোধে শুধু লকডাউন যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস। বুধবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস রোধে অনেক দেশ লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু শুধু এসব পদক্ষেপে বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাসের মতো মহামারী ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যাবে না। করোনাভাইরাস রোধ করতে আমরা বিশ্বের সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জিততে হলে একটি দ্বিতীয় পথ রাখতে হবে।
আমরা যদি এখন শুধু লকডাউন করেই হাত গুটিয়ে বসে থাকি তাহলে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর পুনরায় এই ভাইরাস হানা দিতে পারে। তখন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস জোর দিয়ে বলেন, মানুষকে বাইরে চলাফেরা না করে ঘরে থাকতে বলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সময় পাওয়া যাবে এবং লকডাউন দিয়ে হয়তো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানো যেতে পারে। এর বেশি কিছু নয়। এসব দিয়ে করোনাভাইরাস দূর করা যাবে না, মহামারী ঠেকানো যাবে না। এর বিরুদ্ধে সবাইকে আক্রমণাত্মক হতে হবে।
তাই সন্দেহভাজনদের সন্ধান করুন, বিচ্ছিন্ন করুন, করোনার পরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসা করুন। এটাই সর্বোত্তম উপায়। এ ছাড়া করোনাভাইরাস ঠেকাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।