সন্ধ্যায় সদ্য মুক্তি পাওয়া নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া আপাতত তার নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
দীর্ঘ ২৫ মাস পর মুক্তি পেলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বিকেলে মুক্তি পাওয়ার পর রাজধানীর গুলশানের ফিরোজা ভবনে যান বেগম খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুল জানান, আমরা ম্যাডামকে জানাতে এসেছি যে আমরা উনার মুক্তিতে অনেক খুশি হয়েছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি উনি যেন এখান থেকে উঠে দাঁড়াতে পারেন। আবার রাজনীতিতে আসতে পারেন সেই কথাগুলো বলেছি। উনার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ইতোমধ্যে উনার বাসায় গিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আপাতত কিছুদিনের জন্য ম্যাডামকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। ডাক্তাররা এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। তার সঙ্গে যাতে কেউ কোন দেখা করতে না পারে, এসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ সময় আমরা তার সাথে কোন রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সবাই এখন উনার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। শুকরিয়া আদায় করেছেন যে তিনি বাসায় ফিরেছেন।
কারা সূত্র জানায়, সাজা বাতিলের ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়। সেখানে স্বরাষ্ট্র সচিবের স্বাক্ষরের পর কারা অধিদফতরে যায়। কারা অধিদফতর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করে। সেই কাগজ নিয়ে বিএসএমএমইউতে গিয়ে খালেদাকে মুক্তির ব্যবস্থা করেন জেল সুপার।
এদিকে মুক্তির শর্ত হিসেবে বাসায় অবস্থান করতে হবে খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসা নিতে হবে দেশেই। সাজা মওকুফকালীন ছয় মাস তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করেই ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।