চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা ও বাকলিয়ায় দুইটি আবাসিক ভবন লকডাউন করা হয়েছে। চান্দগাঁওয়ে ছেলের বাসায় কক্সবাজারের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারী একদিন অবস্থান করেছিলেন। বাকলিয়ার বাসাটি ওই নারীর আরেক ছেলের।চট্টগ্রাম শহরের দুটি বাড়ি লকডাউন করার পর ওই দুটি এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাপা অস্বস্তির। এলাকাবাসীর অনেকের মাঝেই ভর করেছে করোনা আতঙ্ক।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার সংলগ্ন চান্দগাঁও আবাসিক ও বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকার দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। কক্সবাজারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মহিলা চট্টগ্রামে তার এক ছেলের বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু অপর ছেলের বাড়িতে তিনি ছিলেন না। ওই ছেলের পরিবারের সদস্যরা এসে মাকে দেখে গিয়েছিল। তাই প্রশাসন দুটি বাড়িই লকডাউন করে।
বৃদ্ধ ওই নারী সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের সব বাড়ি ইতোমধ্যে লক ডাউন করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে। নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজারের দুটিসহ মোট চারটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার ৭৫ বছর বয়সী এক নারী ওমরাহ থেকে দেশে ফেরেন ১৩ মার্চ। দেশে ফিরেই তিনি চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার সংলগ্ন সিডিএ আবাসিক চান্দগাঁওয়ে ছেলের বাসায় ওঠেন। এরপর ১৪ মার্চ খুটাখালীর নিজ বাড়ি যান ওই নারী । কিন্তু ১৭ মার্চ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কক্সবাজার শহরে নেয়া হয়। ওইদিন তিনি শহরের টেকপাড়ায় বড় ছেলে বাসায় ওঠেন এবং জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই রোগীকে ১৮ মার্চ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার অসুস্থতা দেখে নমুনা পরীক্ষার জন্য ২২ মার্চ পাঠান রাজধানীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর)। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ওই নারীর করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার সংলগ্ন চান্দগাঁও আবাসিকের ভবনটিতে করোনা আক্রান্ত ওই নারী ও তার ছেলে একসঙ্গেই অবস্থান করেন। এছাড়া তার আরেক ছেলের বাড়ি নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকায় হলেও ওই নারী সেখানে যাননি। তবে ওই ছেলে মাকে দেখতে আসেন বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের বাসায়। তাই প্রশাসন কালামিয়া বাজারের বাড়িটিও লকডাউন করেছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার জানান, চান্দগাঁও আবাসিক এলকার বি-ব্লকের ৭ নম্বর সড়কের ৬৪ নম্বর বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। বাড়িটি হারুন মঞ্জিল নামেও পরিচিত।