আলোচিত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে একজন দিদারুল আলম মাসুম ছাড়া আর কোন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই অটল থেকেছেন নিজেদের সিদ্ধান্তে। বহিষ্কারের হুমকিকে তোয়াক্কা না করে চসিক নির্বাচনে মাঠে থাকার ইংগিত দিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ১২ কাউন্সিলর প্রার্থী।
রবিবার (৮ মার্চ ) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন থাকলেও বিদ্রোহী ১২ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।আওয়ামীলীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ও নগর নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বার্তার কথা বলেও এসব প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখা যায়নি। ফলে দলের চেইন অব কমান্ড না মানার প্রবণতা নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে ক্ষমতাসীন দলটিকে। সর্বশেষ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও এ চেইন অব কমান্ড না মানার প্রবনতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
উত্তাল মার্চে ঢাকা থেকে উড়ে এসে চট্টগ্রামের কাউন্সিলর প্রার্থীদের দমাতে এক প্রকার ব্যর্থ হয়েই ঢাকা ফিরে গেলেন ওবায়দুল কাদের। শেষমেষ তিনি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফের উপর এ দায়িত্ব দিয়ে দায় সেরেছেন বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিমত।দলের সিন্ধান্ত না মেনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে থাকা বর্তমান কাউন্সিলররা হলেন ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের সাহেদ ইকবাল বাবু, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জহুরুল আলম জসীম, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে সাবের আহমেদ, ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের এফ কবির মানিক, ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের এস এম এরশাদ উল্লাহ, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের এইচ এম সোহেল, ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের আব্দুল কাদের, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তারেক সোলায়মান সেলিম, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডের হাসান মুরাদ বিপ্লব এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী।
সকালে ওবায়দুল কাদের এসেই যা বললেন তাতে অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিষয়ে যতটা বলা হচ্ছিল অতটা কট্টর আসলে নয় আওয়ামী লীগ। সকালে কর্ণফুলী টানেল ঘুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাদের বলেন, বিদ্রোহীদের নিয়ে এত কথা বলার কিছু নেই। ঢাকাতেও বিদ্রোহী ছিল। তাদের অনেকে জয়ীও হয়েছে। সরকার বরং নির্বাচনী পরিবেশ কারা নষ্ট করছে সে বিষয়ে নজর দেবে।