চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়ন এলাকায় দিল্লিতে মসজিদ ভাংচুর, হত্যা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল এবং ক্যাম্প সংলগ্ন মন্দির ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৬ মার্চ) জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পর এ অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।পূজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি প্রবোধ রায় বলেন, মুসলিমদের জুমার নামাজ শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট পর দুই তিনশত লোকজন মিছিল নিয়ে আসে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের মারার স্লোগান দিয়ে দিতে থাকে। ধলঘাট পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক নয়ন দে তাদের থামানোর চেষ্টা করলে, মিছিলে থাকা লোকজন ইট পাটকেল ও লাটি সোটা দিয়ে মন্দিরে হামলা করে। একপর্যায়ে তারা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
ধলঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জহির বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধলঘাটে হিন্দু মুসলিম একে অপরের সাথে ভ্রাতত্ববোধ নিয়ে বসবাস করে আসছি। এক দল উগ্রপন্থী তৌহিদী জনতার ব্যানারে হামলা করে মন্দিরের উপর। এরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কে বিনষ্ট করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
মন্দির হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পটিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী (এমপি)। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের বাংলাদেশের সকল মানুষের মধ্যে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে একে অপরের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। আমরা চাইনা কোন উগ্রতা। সে যেই হোক আমরা ছাড় দিব না উগ্রতা।
তিনি আরো বলেন, ধর্মের শিক্ষা নয় অন্য ধর্মের উপর আঘাত হানা, সবাইকে মিলেমিশে থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।এই বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, দুপুরে জুমার নামাজ শেষে একদল লোক তৌহিদী জনতার ব্যানারে মিছিল বের করে হিন্দুদের ধর্মীয় মন্দিরে হামলা চালায় আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এই ঘটনায় মিছিলের নেতৃত্বে থাকা ধলঘাটের আবুল বাসার এর ছেলে মোঃ ফরিদ ও আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ মানিক কে আটক করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।