দুদকের মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিন বাতিল হওয়ার ৫ ঘন্টার মাথায় আবার জামিন দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জামিন আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়া জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে দুর্নীতির অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম জেলা জজ নাহিদ নাসরিন এর দ্বিতীয় আদালত থেকে জামিন পান এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান পান্না।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। আবেদন নাকচ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আব্দুল মান্নান।মামলার নথি থেকে জানা গেছে, পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার সামনে সরকারি খাস জমি দখল করার অভিযোগ এনে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বরিশালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় তিনটি মামলা করেন। একটি মামলায় তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়।