অস্ত্র আইন ও অর্থ পাচারের দুই মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কোন যোগ্যতায় কীভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁদের আয়কর রিটার্ন বিষয়ে তথ্যও জানতে চেয়েছেন আদালত। ৫ মার্চ তা প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী হলেন বাড্ডার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, যশোরের শহীদুল ইসলাম, ভোলার কামাল হোসেন ও নীলফামারীর শামশাদ হোসেন।এই চার আসামির জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শামীম সরদার।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অবকাশকালীন আদালত গত ২৪ ডিসেম্বর জি কে শামীমের চার দেহরক্ষীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তারা ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এরপর হাইকোর্ট তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। সে রুলে আসামীদের কেন তাদের জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুলের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট আদেশ দিলেন।এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সাত দেহরক্ষীর মধ্যে হাইকোর্টের আজকের আদেশ প্রাপ্ত চারজনের বাইরে বাকিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম।
২৭ অক্টোবর জি কে শামীমসহ তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ রোববার অভিযোগপত্র জমা দেন র্যাব-১–এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।জি কে শামীমসহ তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাঁর সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তাঁরা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।