সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অপরিচিত দুইজন পুরুষ জড়িত ছিলো। এই দম্পতির ব্যবহৃত কাপড়ের সঙ্গে ওই লোকদের ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে। ৮ বছর পর সাগর-রুনি হত্যা মামলায় র্যাবের প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়। তবে ডিএনএ প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
সোমবার (২ মার্চ) বিকেলে প্রতিবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মামলার অন্যতম আসামি তানভির রহমানের আচরণ রহস্যজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে অগ্রগতি প্রতিবেদনে। এই মামলায় তাকে বিচারিক আদালতে ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়নি।
গত ১৪ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ৪ মার্চ বা তার আগে এ মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে এবং সাগর-রুনি হত্যা মামলায় আটক আসামি তানভিরের জড়িত থাকার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হলফনামাসহ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে র্যাব।এ মামলায় রুনির বন্ধু তানভির রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অন্য আসামিরা হলেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককেই একাধিকবার রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের কেউই আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেননি। এ পর্যন্ত এ মামলার তদন্তে ১৫৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। তখন সাগর মাছরাঙা টিভি আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।