ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দিল্লির পর এবার সংঘর্ষে প্রাণহানি ঘটেছে মেঘালয়ে। শুক্রবার দুপুর থেকে পূর্ব খাসি পার্বত্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। অ-উপজাতি এবং কেএসইউ’র সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার ও এসএমএস আদান-প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।
জানা গেছে, মৃত যুবক কেএসইউ বা খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্য। রাজ্যের রাজধানী শিলং থেকে ৯০ কিমি দূরে এই পূর্ব খাসি পার্বত্য এলাকা। সেই এলাকার শেলা জনপথে এই সংঘর্ষের উৎপত্তিস্থল। সেই এলাকায় শনিবার থেকে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি শিলংয়ে বিক্ষিপ্তভাবে জারি রয়েছে কারফিউ।শুক্রবারের ঘটনার সেই আঁচ প্রায় ১০০ কিমি দূরে পর্যটক-বান্ধব শিলংয়ে এসে পড়ে। শনিবার অ-উপজাতি সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আহত হয়েছেন ছয়জন। একজনের দেহে ছুরির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
এই ঘটনার পর নিরাপত্তা পর্যালোচনায় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। জানা গেছে, ইনার লাইন পারমিট বা আইএলপি’র দাবিতে কেএসইউ ও সিএএ-বিরোধী কয়েকটি নাগরিক সংগঠন শেলা জনপথের ইচ্ছামতী গ্রামে বৈঠক করে। সেই বৈঠকের ওপর হামলা চালায় অ-উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্যরা। বাড়ে উত্তেজনা। মৃত্যু হয় লুরশাই হিনিএওতা নামের এক যুবকের। এমনটাই অভিযোগ কেএসইউ সংগঠনের। এই ইচ্ছামতী গ্রাম বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জনপথ।সেই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে জখম হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। অভিযোগ উঠেছে, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। তবে কাদের উস্কানিতে এই হামলা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গেছে, মেঘালয় বিধানসভা ইতোমধ্যে ইনার লাইন পারমিট নিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি জারির অপেক্ষা। কেএসইউ ও অন্য উপজাতি সংগঠন বহু বছর ধরে আইএলপি চেয়ে আন্দোলন করছে। এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ঘোর বিরোধী এই কেএসইউ সংগঠন।