চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট নয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তারা এসব মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ ছাড়াও চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ২৭৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে-সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসব গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, চসিক মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর চেয়ে সম্পদসহ বেশ কিছু খাতে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা না থাকলেও এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ডা. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালত ও নগরীর বিভিন্ন থানায় ৪৮টি মামলা রয়েছে। যেগুলো বর্তমানে বিচারাধীন।
চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকার খ্যাতনামা বহদ্দার বাড়ির হারুন অর রশীদ চৌধুরী বড় সন্তান রেজাউল করিম চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বি.এ। রাজনৈতিক জীবনে কোনো মামলা-মোকদ্দমার মুখোমুখি হননি তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী এ রাজনীতিবিদ মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী।
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন পশ্চিম বাকলিয়ার ডিসি রোড এলাকার আহমদুর রহমানের ছেলে শাহাদাত হোসেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিবিএস ডিগ্রিধারী। পেশায় একজন চিকিৎসক। তার বিরুদ্ধে আদালত ও নগরের বিভিন্ন থানায় ৪৮টি মামলা বিচারাধীন আছে।
হলফনামায় রেজাউল করিম চৌধুরীর নামে মোট ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৮ টাকা অস্থাবর সম্পদ দেখানো হলেও ডা. শাহাদাতের নামে অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ২৩ লাখ ৯ হাজার ২২৭ টাকা। এ ছাড়া নানাখাতে রেজাউল করিম চৌধুরীর নিজের ও নির্ভরশীলদের মিলে বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা হলেও শাহাদাত হোসেনের পেশাগত ও নানা ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৫ টাকা। যা রেজাউল করিমের চেয়ে ডা. শাহাদাতের দ্বিগুণের বেশি।