শত চেষ্টার পরও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পাননি বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজমা আকতার এবং সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।
পাপিয়াকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন এই দুই নেত্রী। তবে তাদের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ দেননি, এমনকি গণভবনে তাদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে বলে গণভবনের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এই ঘটনার পর পরিস্থিতি ব্যাখ্যা এবং তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যুব মহিলালীগের এই দুই নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য একাধিক বার চেষ্টা করেছেন।গণভবন সূত্রে আরও জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন। এইসব বিষয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়, এসব নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন তিনি।
অপর একটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় খুবই ক্ষুদ্ধ্ব এবং প্রধানমন্ত্রী এই মুহুর্তে যুব মহিলালীগের কমিটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রক্রিয়া চলছে, তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী এদের সাথে সাক্ষাৎ করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
পাপিয়াকাণ্ডের পর যুব মহিলালীগের শীর্ষ দুই নেত্রী মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় কাদের তাদের তীব্র ভৎসর্না করেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।অন্যদিকে দলীয় সূত্র বলছে, যুব মহিলালীগের কমিটি বাতিল কিংবা এই দুজনকে সরিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এখন চলমান।
পাপিয়া কেলেঙ্কারির পর আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারনী মহল আবার নড়েেচড়ে বসেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যারাই পাপিয়ার মত অপরাধে জড়িত এবং অপরাধ করছেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। জানা গেছে, গোয়েন্দারা আরো ১১ পাপিয়ার সন্ধান পেয়েছে। এরা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে।বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, ৬ জন হলেন কেন্দ্রীয় নেত্রী। কাজ হলো টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য তদবির করা। ছয়জনই নিয়মিত সচিবালয়ে যান এবং বিভিন্ন তদবিরের সঙ্গে জড়িত থাকেন। এদের সচিবালয়ের পাস বাতিল করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই। আর বাকি ৫জন স্থানীয় পর্যায়ের যুব মহিলা লীগের নেতা। তারাও এলাকায় দাপট দেখান। মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে নিজেদের ক্ষম’তা জাহির করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় টেন্ডারবাজিতে রয়েছে তাদের ব্যপক ভূমিকা। ১১ জনই গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। খুব শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।