চট্টগ্রাম-৮ আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দীন খান বাদল মারা যাওয়ায় তার আসনটি ইতিমধ্যে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয় বাদলের আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ওয়েবসাইট থেকে তার নাম ও ছবি সরিয়ে নিয়েছে। আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই যখন উপনির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেই হিসেবেই এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
উপনির্বাচনে মনোনয়ন দৌঁড়ে অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। তিনি এ আসনে এবার নৌকার টিকিট পেতে যাচ্ছেন। বিষয়টি আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। মোছলেম উদ্দীন শুধু বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবেই নয়, এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার চেয়েও বয়োজ্যেষ্ঠ ও ত্যাগী নেতা।নিজের মনোনয়ন লাভের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে প্রবীণ এ নেতা বলেছেন, ‘আমি বাসদ করিনি, জাসদ করিনি, আব্দুর রাজ্জাকের বাকশাল করিনি। আজীবন আওয়ামী লীগ করেছি। মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কারাভোগ করেছি। আমার বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। চট্টগ্রামের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে থেকে কাজ করেছি। আমি রাষ্ট্রদূত হতে চাইনি, ব্যাংকের পরিচালক হতে চাইনি, হতে চাইনি সিডিএর চেয়ারম্যান। পটিয়া থেকে আমাকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তখন দলের দুঃসময় ছিল। তাই আমি মনে করি আমাকে একটিবার সুযোগ দেওয়া উচিত।
উপনির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রয়াত এমপি মইন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রীসহ অনেকেই আলোচনায় থাকলেও নৌকার টিকিট পেতে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দীন আহমেদ।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচন হতে পারে আগামী ১৩ জানুয়ারি। প্রথমবারের মতো এই আসনে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এমনই প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে আগামী ১৩ জানুয়ারি উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই ওই আসনে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
সিএনএন ক্রাইম নিউজ